মুখ্যমন্ত্রী পদ তাঁরই থাকছে। থাকছে ১০০ বিধায়কের সমর্থনও। ছবি: পিটিআই।
গুজরাতে ১০০ ছুঁয়ে ফেলল বিজেপি। ৯২টি আসন পেলেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা যায় ১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায়। বিজেপি পেয়েছে ৯৯টি। অর্থাৎ টানা ষষ্ঠ বারের জন্য সরকার গড়ার পথে কোনও বাধা নেই। কিন্তু গত ২২ বছরে এই প্রথম বার দুই অঙ্কে নেমে গিয়েছে বিজেপি-র আসনসংখ্যা। একটি মাত্র আসন বেশি পেলে তিন অঙ্কে পৌঁছে যেত বিজেপি। মধ্য গুজরাতের লুনাওয়াড়া কেন্দ্রটি বিজেপি নেতৃত্বের সেই আক্ষেপ কিছুটা মিটিয়ে দিল।
বিজয় রুপাণীই ফের গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। পরিষদীয় দলের বৈঠকে তাঁকেই ফের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে নিতিন পটেলও বহাল থাকছেন। তবে ৯৯ জনের নয়, ১০০ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়েই যে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রূপাণী, তা এ দিন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। লুনাওয়াড়া থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী রতনসিন রাঠৌড় শুক্রবার জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি-কে নিঃশর্ত ভাবে সমর্থন করছেন। অর্থাৎ, নিজেদের ৯৯ এবং নির্দল রতনসিনকে নিয়ে বিজেপি এখন ১০০।
গত দু’দশক ধরে কংগ্রেসেই ছিলেন রতনসিন রাঠৌড়। মধ্য গুজরাতের লুনাওয়াড়া আসন থেকে এ বার তিনি মনোনয়ন পত্র জমাও দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস তাঁকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলে। কারণ ওই আসনে দ্বিগ্বিজয় সিংহের জামাইকে টিকিট দিয়েছিল দল। রতনসিন নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি হননি। কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবেই লড়েন তিনি। শেষ হাসি তিনিই হেসেছেন।
রূপাণীই মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে প্রথম সারিতে ছিলেন। তাঁর নামই ঘোষিত হল শেষ পর্যন্ত। ছবি: পিটিআই।
আরও পড়ুন: আদর্শ মামলায় চহ্বাণের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ খারিজ, স্বস্তি কংগ্রেসের
আরও পড়ুন: বিভাজনে বিপদে দেশ, মত দেশের ক্যাথলিক শীর্ষ সংগঠনের
জয়ের পর রতনসিন রাঠৌড় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নিজের কেন্দ্রে ভাল নিকাশি ব্যবস্থা গড়়ে তোলা এবং বিশুদ্ধ পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা তাঁর মূল লক্ষ্য হবে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্যই সম্ভবত সরকারের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন নির্দল বিধায়ক। বলছে গুজরাতের রাজনৈতিক শিবির।