অধিকার: ভোট দিয়ে বেরোচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার অমদাবাদের একটি কেন্দ্রে। ছবি: রয়টার্স।
ভোটের দিন। সাধারণের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে, বেরিয়ে দাদার পা ছুঁয়ে, আঙুলে ভোটের কালি দেখিয়ে অনেকটা হেঁটে চললেন নরেন্দ্র মোদী। তার পর গাড়ির পাদানিতে দাঁড়িয়েও অভিবাদন কুড়োলেন জনতার।
গত কালই দিল্লিতে বসে কিছু গুজরাতি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের নোটিস পেয়েছেন রাহুল গাঁধী। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের জন্য এফআইআর-এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে কাল রাতেই কমিশনে গিয়ে তুলকালাম করেছে কংগ্রেস। আর আজ গুজরাতের ভোটের শেষ দিনেও প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কার্যত ‘রোড-শো’ করে ফেললেন, তারপর ফের রে-রে করে উঠল রাহুল গাঁধীর দল।
তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কংগ্রেস নিশানা করল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকেই। অভিযোগ, এক সময়ে নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন এ কে জ্যোতি। এখন তিনি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হয়েও প্রধানমন্ত্রীর সচিব হিসেবেই কাজ করছেন। ‘হাতের পুতুল’ হয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এফআইআর করছেন না।
কংগ্রেস খোদ প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করায় রবিশঙ্কর প্রসাদ, নির্মলা সীতারামন, মুখতার আব্বাস নকভির মতো মন্ত্রীরা গেলেন কমিশনে। কিন্তু বেরিয়ে এসে কিছু বললেন না। শুধু ঘরোয়া স্তরে বিজেপি দাবি করল, প্রধানমন্ত্রী আদৌ রোড-শো করেননি। কংগ্রেস নির্বাচনবিধিই জানে না। সন্ধ্যায় কমিশন জানাল, কংগ্রেসের অভিযোগ কাল রাতে এসেছে। সেই মোতাবেক গুজরাতের নির্বাচন কমিশন থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকেও পাল্টা কিছু অভিযোগ এসেছে। রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর হয়নি। আজ মহারাষ্ট্রে মোদীর ডুবোজাহাজ উদ্বোধন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস। কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই অনুষ্ঠান নির্বাচনী বিধির আওতায় পড়ে না।
গুজরাত নির্বাচন নিয়ে সব খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
কংগ্রেসের দাবি, কমিশন পুরোদস্তুর পক্ষপাতিত্ব করছে। ডুবোজাহাজ উদ্বোধন ও ভোট দিতে গিয়ে মোদী যে প্রচার করবেন তা নিয়ে আগেই কমিশনকে সতর্ক করা হয়েছিল। বিজেপির প্রশ্ন, রাজ্যসভা ভোটের সময়ে যখন এই কমিশনই কংগ্রেসের পক্ষে রায় দিয়েছে, তখন তারা নিরপেক্ষ ছিল। এখন রাহুলকে নোটিস দিতেই তারা পক্ষপাতদুষ্ট? কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘এক বার ভাল কাজ করলে কি অন্যায়ের ছাড়পত্র মেলে?’’