ভূপেন্দ্র পটেলের শপথে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।
গুজরাত নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পর বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকেই নতুন নেতা হিসেবে ভূপেন্দ্র পটেলের নামে সিলমোহর দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সূচি মেনেই সোমবার দুপুরে রাজ্যপাল আচার্য দেবরথ শপথবাক্য পাঠ করালেন ভূপেন্দ্রকে। গান্ধীনগরে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তা ছাড়াও বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
ভূপেন্দ্রর পরেই রাজ্যের সম্ভাব্য মন্ত্রীরা শপথ নেন। প্রাথমিক ভাবে শপথ নিয়েছেন ১৭ জন। পূর্বতন মন্ত্রিসভার প্রায় প্রতিটি সদস্যকেই নতুন মন্ত্রিসভায় রাখার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। জয়ী বিধায়কদের মধ্যে সোমবার শপথ নিয়েছেন হর্ষ সাংভি, জগদীশ বিশ্বকর্মা, পুরুষোত্তম সোলাঙ্কি, বাচুভাউ খাবাদ, মুকেশ পটেল, ভিখুসিন পারমার প্রমুখ। মন্ত্রিসভার একমাত্র মহিলা প্রতিনিধি হিসাবে শপথ নিয়েছেন ভানুবেন বাবারিয়া। বিজেপির একটি সূত্র জানিয়েছে, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হবে। মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা হতে পারে ২৮। গান্ধীনগর (দক্ষিণ) থেকে জেতা তরুণ অনগ্রসর শ্রেণির নেতা অল্পেশ ঠাকোরকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে।
শপথগ্রহণের সময় দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা ২০০ জন সাধু। উপস্থিত ছিলেন দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিরাও। মন্ত্রিসভায় সমাজের সব অংশের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল বিজেপি।
মোদীরাজ্য গুজরাতে প্রায় তিন দশক ক্ষমতায় থাকার পরেও সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। রাজ্যের ১৮২টি আসনের মধ্যে ১৫৬টিতে জয়লাভ করেছে তারা। রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে সামাল দিতে ২০২১ সালে বিজয় রূপাণীকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে আনা হয় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ভূপেন্দ্রকে।