যা ছিল, যা হল! ছবি: সংগৃহীত।
গুজরাতে বিজেপির ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কতটা সময়? তা জানাতে গুজরাতের কংগ্রেস দফতরে বসানো হয়েছিল একটি ঘড়ি। যে ঘড়িতে সময় মেপে কংগ্রেস নেতারা বলে দিচ্ছিলেন, আর ঠিক কত দিন, কত ঘণ্টা, কত মিনিট, কত সেকেন্ড পর গুজরাতে বিজেপি সরকার ‘ইতিহাস’ হয়ে যাবে। কিন্তু গণনার বাক্স খুলতেই ফাঁকা কংগ্রেস দফতর। ঘড়ির কাঁটা যখন প্রায় বারোটা ছুঁইছুঁই, কেউ যেন বললেন, ‘‘১২টা বাজে দেরি করিস না!’’ বিজেপির পতনের সময়-গোনা ঘড়ি তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া হল।
গুজরাতে বিজেপির হার নিশ্চিত। ঠিক কতটা সময় পর বিজেপি হারবে এবং কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরবে, তা জানাতে একটি ডিজিটাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল আমদাবাদের প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের সামনে। দিন, ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড গুনে তা জানিয়ে দিচ্ছিল হাতে আর কতটা সময়। বৃহস্পতিবার, গণনা শুরু হতেই অবশ্য ফাঁকা হয়ে যায় কংগ্রেসের দফতর। কিন্তু ঘড়ি সময় দেখিয়েই চলে। ভবিতব্য বুঝতে পেরে কংগ্রেস সমর্থকেরা যখন ঘরমুখো, তখনও টিক টিক করে এগিয়ে চলেছে কংগ্রেসের পরিবর্তন ঘড়ি। দলের ‘১২টা’ বাজা যখন কার্যত নিশ্চিত, তখন খুলে ফেলা হয় ঘড়িটি। ঘটনাচক্রে, ঘড়ির কাঁটাও তখন সেই ১২টারই ঘরে। জানা গিয়েছে, ১২টা বাজার কিছু ক্ষণ আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ঘড়িটি। তার পর তা খুলে ফেলা হয় প্রদেশ দফতর থেকে।
ক্ষমতা দখলের স্বপ্নে বিভোর কংগ্রেস ওই ঘড়ি লাগিয়েছিল। কিন্তু ভোটের ফল বলছে, বিজেপি ১৯৮৫-এর কংগ্রেসের সেরা ফলকেও অনায়াসে অতিক্রম করে যাচ্ছে। ১৮২টি আসনের মধ্যে দেড়শো আসন ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। শেষ বিচারে আসন সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়বে। অন্য দিকে, গুজরাতে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে কংগ্রেসকে। এ যাবৎ সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে তাদের। ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, ভোট কেটে অনেক আসনেই কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছে আপ। নিজেরাও জিততে পারেনি, উল্টে ভোট কাটাকাটির সুবিধা নিয়ে জিতে গিয়েছে বিজেপি।