আমদাবাদে রাত্রিকালীন কার্ফু। ছবি—পিটিআই।
কমে গিয়েও ফের বেড়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। তা রুখতে রাত্রিকালীন কার্ফু জারির পথে হাঁটল দেশের দুই রাজ্য— গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশ। এই দুই রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে কার্ফু জারির কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য প্রশাসন।
গুজরাতের রাজকোট, সুরাত, ভডোদরা শহরে শুক্রবার থেকেই জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত লাগু থাকবে কার্ফুর বিধিনিষেধ। গুজরাতের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে। এর আগে আমদাবাদ শহরে সম্পূর্ণ কার্ফু জারির ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত আমদাবাদ থাকবে কার্ফুর অধীনে। তার পর থেকে সেখানে শুরু হবে রাত্রিকালীন কার্ফু। কার্ফু চলার সময় জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সেখানকার রাজ্য প্রশাসন।
অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহ্বান শুক্রবার রাত্রিকালীন কার্ফু জারির ঘোষণা করেছেন। ইনদওর, ভোপাল, বিদিশা এবং রতলমে-তে শনিবার রাত থেকে শুরু হবে কার্ফু। রাত ১০ থেকে শুরু হয়ে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত জারি থাকবে সেই কার্ফু। সেই সময় ছাড় পাবেন জরুরিকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এবং কারখানার কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে কমেছিল দৈনিক সংক্রমণ। কমে তা নেমে গিয়েছিল এক হাজারে নীচে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তা আবার ১ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ওই দুই রাজ্যের যে শহরগুলিতে সংক্রমণ বেড়েছে তা রোখার জন্য ফের ফেরানো হল রাত্রিকালীন কার্ফু।
আরও পড়ুন: দিল্লি-কেরলে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৫৬৪
আরও পড়ুন: ‘সামাজিক’ নয়, দূরত্ব ‘শারীরিক’ মানল কেন্দ্র