ছবি: শাটারস্টক।
অস্ত্র বলতে একটা সেভিং ব্লেড। আর তার এক টানেই পকেট সাফ! তবে একশো-দু’শো নয়, তাঁর ব্লেডের এক টানেই নাকি হাতে উঠে আসেহাজার হাজার টাকা। ছিঁচকে নয়, সেকেন্দরাবাদ থেকে এমন রহিস পকেটমারকে ধরল জিআরপি।
সোমবার ৩৩ বছরের থানেদার সিংহ কুশওয়াহাকে গ্রেফতারির পর পুলিশ আধিকারিকদের তো চক্ষু চড়কগাছ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৭ লক্ষ অর্থমূল্যের সোনার গয়নাগাঁটি। সঙ্গে নগদ১৩ লক্ষ টাকা।
মঙ্গলবার জিআরপি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ২০ হাজার টাকার নীচে কখনও পকেটমারিই করেন না কুশওয়াহা। বছরের পর বছর এমন কাজকম্ম করেই বিপুল সম্পত্তি করেছেন। থাকেন তেলঙ্গানার চন্দ্রনগরের মতো অভিজাত এলাকায়। ফি মাসে তাঁকে বাড়ি ভাড়াই গুনতে হয় ৩০ হাজার টাকা। তাঁর দুই সন্তানকে পড়ান আন্তর্জাতিক স্কুলে। প্রত্যেকের জন্য বছরে খরচ হয় দু’লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন: লুকিয়ে হবে না এনআরসি, বললেন শাহ
এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক বি অনুরাধা জানিয়েছেন, আদতে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা কুশওয়াহা ২০০৪ সাল থেকে ট্রেনে ট্রেনে পকেটমারি করে বেড়াচ্ছেন। এ হেন কুশওয়াহা এক সময় পাক জঙ্গি আজমল কসাভের সঙ্গে ইয়েরওয়াড়া জেলেও বন্দি ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিতর্ক উস্কে এনপিআর খাতে টাকা, এনআরসি-র শুরু, বলছেন বিরোধীরা
অনুরাধা বলেন, ‘‘লোকাল ট্রেনে নয়, রীতিমতো ছক কষেই টিকিট কেটে দূরপাল্লার ট্রেনে উঠতেন। প্রতি মাসে এ রকম আটটি ট্রিপে বেরোতেন। তবে প্রতি ট্রিপ থেকেই যাতে কমপক্ষে হাজার কুড়ি টাকার জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টায় থাকতেন কুশওয়াহা। তাঁর বিরুদ্ধে নয় নয় করে চারশোর বেশি অপরাধের মামলা ঝুলছে। ২০০৭ ও ’১১-তে এক বার পুলিশের জালে ধরাও পড়েছিলেন। তবে ’১৫-র পর আর ধরা যায়নি তাঁকে। পকেটমারি ছাড়া, ক্রিকেট বেটিং ও সাট্টা বাজারেও কারবার করেন কুশবাহা।’’
পুলিশের জালে কী ভাবে ধরা পড়লেন কুশওয়াহা? পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সেকেন্দরাবাদে একটি উড়ালপুলের কাছে কুশওয়াহা ও তাঁর সঙ্গী অরুণের মোটকবাইকটি অনেক ক্ষণ রাখা ছিল। বাইকের কাছে ফিরে পুলিশকর্মীদের দেখেই পালাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের পিছুধাওয়া করে জিআরপি। পুলিশের নজর এড়িয়ে অরুণ পালালেও কুশওয়াহাকে গ্রেফতার করে জিআরপি।