প্রতীকী ছবি।
বাজনা বাজিয়ে বর এসেছিলেন বিয়ে করতে। কিন্তু তাঁদের স্বাগত জানানোর পর কনেপক্ষ জানতে পারল বর এবং বরযাত্রীদের বাজনা শুনিয়ে মনোরঞ্জনের দায়িত্ব আদতে তাদেরই! বাজনদাররা টাকা চাইতেই পাত্রপক্ষ সপাট কনে বাড়ির কর্তাদের দেখিয়ে দেয়। পাল্টা কনেপক্ষ ‘বাড়তি খরচ’ কাঁধে নিতে না চাওয়ায় বাধে ধুন্ধুমার। এই গোলমাল বরের ‘আত্মসম্মানে আঘাত করায়’ তিনি শেষে বিয়ে না করেই মণ্ডপ ছাড়েন।
উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থানার মির্জাপুরের ঘটনা। প্রায় ৯ ঘণ্টা দূরত্বে থাকা ফারুখাবাদের কামপিল থেকে সেখানে বিয়ে করতে এসেছিলেন পাত্র ধর্মেন্দ্র। তাঁর সঙ্গে বরযাত্রীদের দল এবং বরযাত্রীদের নাচ-গানার জন্য বাজনদারদের দল এসেছিল কামপিল থেকেই। মঙ্গলবার তারাই বরকে নিয়ে শোভাযাত্রা করে পৌঁছয় কনের বাড়িতে। বিয়ের পর্ব শুরু হলে বরকর্তার কাছে টাকা চাইতে যান বাজনদাররা। তার পরই সমস্যার সূত্রপাত। বরপক্ষ জানিয়ে দেয়, টাকা তারা দেবে না। কেন না এই দায়িত্ব কনেপক্ষের।
আচমকা বাড়তি খরচের কথা শুনে বেঁকে বসে কনেপক্ষও। তারা জানিয়ে দেয়, ওই খরচ বহন করার কথা ছিল না তাঁদের। দু’পক্ষের বাদানুবাদের মধ্যেই মণ্ডপ ছেড়ে উঠে পড়েন পাত্র। পুরো ঘটনাটি তাঁর অপমানজনক লেগেছে জানিয়ে সবার সামনে গলার মালা ছিঁড়ে মণ্ডপ ছেড়ে চলে যান তিনি। এই ঘটনার পর কনেপক্ষও বরপক্ষের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক চ্ছিন্ন করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।