হাসপাতালে আহতরা। ছবি: পিটিআই
ফের উপত্যকায় হামলা চালাল জঙ্গিরা। শ্রীনগরের লাল চকে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক মহিলার। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। জখমদের মধ্যে তিন জন এসএসবি জওয়ান রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সেনা ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুরের দিকে হরি সিং হাই স্ট্রিট এলাকায় বাজার বন্ধ থাকায় রাস্তার ধারেই পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন বিক্রেতারা। তাঁদেরই টার্গেট কের জঙ্গিরা। সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। অনেকেই বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই এক জনের মৃত্যু হয়। আহত ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনা ও পুলিশ।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, নিহত মহিলা অকাশ্মীরি। অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। ঘটনার পিছনে কোন গোষ্ঠী রয়েছে বা পাকিস্তানের হাত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
গত সপ্তাহেই উত্তর কাশ্মীরের সোপোরে প্রায় একই রকম গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওই বিস্ফোরণেও ১৫ জন আহত হন। এ ছাড়া গত ২৬ অক্টোবর চেক পোস্টে গাড়ি পরীক্ষা করার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। তাতে ৬ জন নিরাপত্তা কর্মী আহত হন। এই নিয়ে গত এক মাসে তিনটি গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটল উপত্যকায়।
(হামলার পরের ভিডিয়ো)
গত ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই উপত্যকায় কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছিল। ল্যান্ডলাইন, মোবাইল, ইন্টারনেট, কেবল টিভির মতো পরিষেবা বন্ধ করে কড়া নজরদারি ছিল নিরাপত্তা রক্ষীদের। তার প্রায় তিন মাস পরে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে উপত্যকা। কিন্তু তার মধ্যে আবার গত ৩১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর বিভাজন বিল। অর্থাৎ জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তার জেরে ফের নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেও ফের হামলা চালাল জঙ্গিরা।