—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
গ্রামে হানা দিয়েছিল চিতাবাঘ। হিংস্র পশুর সামনে পড়েছিলেন এক প্রৌঢ়া এবং তাঁর দুই নাতনি। এই পরিস্থিতিতে নাতনিদের প্রাণ বাঁচাতে চিতাবাঘের সঙ্গে লড়লেন ৫৮ বছরের প্রৌঢ়া। এর জেরে জখম হয়েছেন ওই প্রৌঢ়া। তবে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার আবকি গ্রামের। শনিবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
গত বুধবার রাতে ওই গ্রামে হানা দেয় একটি চিতাবাঘ। সেই সময় বাড়ির বারান্দায় নাতনিদের সঙ্গে ছিলেন চন্দ্রমা দেবী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চিতাবাঘ দেখেই নাতনিদের আড়াল করেন ওই প্রৌঢ়া। তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। ওই সময় চিৎকারে চিতাবাঘের হামলার ঘটনায় টনক নড়ে পড়শিদের। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান প্রৌঢ়ার পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয়রা। তার পরই স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে পালায় চিতাবাঘটি।
জখম অবস্থায় ওই প্রৌঢ়াকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মুখে আঘাত লেগেছে। প্রৌঢ়ার চিকিৎসা চলছে। তবে তিনি বিপন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। গ্রামে চিতাবাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনায় বন দফতরের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।