(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই পোর্শে। গ্রেফতার অভিযুক্ত কিশোরের ঠাকুরদা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
পুণের পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরের ঠাকুরদা সুরেন্দ্র আগরওয়ালকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে চালককে শাসানো, আটকে রেখে জোর করে দুর্ঘটনার দায় নিতে বাধ্য করানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর পরই গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্ত কিশোরের বাবা বিশাল আগরওয়ালকে। এ বার এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল কিশোরের ঠাকুরদাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ঘটনার পর পরই চালক গঙ্গারামকে ধমকান অভিযুক্ত কিশোরের বাবা, মা এবং ঠাকুরদা। কিশোরকে পুলিশি এবং আইনি ঝামেলা থেকে দূরে রাখতে দুর্ঘটনার পরই তাঁকে চাপ দিয়ে এই দায় নিজের কাঁধে নিতে বাধ্য করিয়েছিল আগরওয়াল পরিবার। আর তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশের কাছে গিয়ে গঙ্গারাম দাবি করেন, কিশোর নয়, চালকের আসনে ছিলেন তিনিই। যদিও পুলিশের সেখানেই একটা সন্দেহ হয়েছিল। চালককে দায় নিতে বাধ্য করা হচ্ছে না তো? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে সেই বিষয়টিই প্রকাশ্যে এল।
শনিবার ভোর ৩টের সময় আগরওয়াল পরিবারের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখান থেকেই অভিযুক্ত কিশোরের ঠাকুরদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুরেন্দ্রের বিরুদ্ধে অপহরণ, মারধর এবং শাসানোর অভিযোগ তুলেছেন চালক গঙ্গারাম। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার গ্রেফতার করা হয় পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্তের ঠাকুরদাকে। তবে চালকের বিরুদ্ধেও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার দিন গাড়ি চালাচ্ছিল কিশোর। তার পাশে বসেছিলেন চালক। কিন্তু দুই ইঞ্জিনিয়ারকে চাপা দেওয়ার পর পরই চালকের আসন থেকে সরে যায় কিশোর। আর সেই জায়গায় গিয়ে বসেছিলেন চালক। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
ইতিমধ্যেই গাফিলতির অভিযোগে ইয়েরওয়াড়া থানার দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ১৯ মে দুর্ঘটনার পর ওই দুই আধিকারিক তাঁদের ঊর্ধ্বতনদের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেননি বলে অভিযোগ। ঘটনার পর পরই রাহুল জাগদালে এবং বিশ্বনাথ টোডকরী নামে দুই পুলিশ আধিকারিক সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা সময়মতো ঊর্ধ্বতনদের এবং কন্ট্রোল রুমে খবর দেননি।