পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকার দাদু মাদকাসক্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এর আগেও নিজের মেয়ের ক্ষেত্রেও একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় হাতেনাতে ধরা না পড়লেও, এ বার স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় বিষয়টি।
প্রতীকী ছবি।
১২ বছরের নাতনিকে মাসের পর মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দাদু এবং তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। অন্ত্বঃসত্তাও হয়ে পড়ে নাবালিকা। সোমবার অসুস্থ বোধ করায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করতেই চমকে ওঠেন। তাঁরা দেখেন, নাবালিকা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনাটি রাজস্থানের বুঁদির।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর সত্তরের দাদু তাঁর দুই বন্ধুকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে নাতনিকে ‘সঁপে’ দিতেন তাঁদের হাতে। তার পর তাঁরা মত্ত অবস্থায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করতেন। মাসের পর মাস ধরে এই ঘটনা ঘটছিল। অবশেষে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
নাবালিকার বাবা ১২ বছর আগেই মারা গিয়েছিলেন। তার মা মানসিক ভারসাম্যহীন। বাবার মৃত্যু পর থেকে মাকে নিয়ে দাদুর বাড়িতেই থাকত সে। সেখানেই নাবালিকার দাদু তার দুই বন্ধুকে ডাকতেন। প্রতি বার ধর্ষণের পর নাবালিকার দাদুর হাতে ৫০০ টাকা গুঁজে দিয়ে যেতেন তাঁর বন্ধুরা।
পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকার দাদু মাদকাসক্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এর আগেও নিজের মেয়ের ক্ষেত্রেও একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় হাতেনাতে ধরা না পড়লেও, এ বার স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় বিষয়টি। নাবালিকার দাদু এবং তাঁর দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।