—ফাইল চিত্র।
বারামতীর পুলিশ অন্য বেশ কিছু ধারার সঙ্গে পকসো আইনেও অভিযোগ এনেছে ২৭ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধে। ভালবাসার প্রস্তাব না-মানায় যুবক এমন বেশ কিছু কাজ করেছে বলে অভিযোগ, যেগুলি দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু পুলিশ শিশু ও নাবালিকাদের যৌন নিগ্রহের আইন পকসোর কয়েকটি ধারাও যোগ করায় আপত্তি জানাল বম্বে হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, অনিচ্ছাকৃত ছোঁয়া লাগলে, কিংবা কোনও যৌন আগ্রহ ছাড়া কোনও নাবালিকার হাত ধরা হলে, সেটাকে পকসো আইনে যৌন নিগ্রহ বলা যায় না।
পুলিশের অভিযোগ, ভালবাসা জানাতে প্রতিবেশী যুবকটি ১৭ বছরের এক কিশোরীর পথ আটকে দাঁড়িয়েছিল। ভালবাসার কথা বোঝাতে যুবক হাত ধরে তার। হাত ছাড়িয়ে নিয়ে মেয়েটি দৌড়ে পালায়। এর পরে প্রায়ই মেয়েটির বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত যুবকটি। কাউকে যেন না-জানায়, এই হুমকি দিয়ে বার্তাও পাঠাতে শুরু করে। সোশ্যাল সাইটে মেয়েটির নামে অ্যাকাউন্ট খুলে তাকে বদনামেরও চেষ্টা করে।
এই সব কাজের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির নানা ধারায় অভিযোগ এনেছে পুলিশ। কিন্তু সঙ্গে জুড়েছে পকসোর ৮ ও ১৭ নম্বর ধারা। ফলে যুবকটি জামিনও পায়নি নিম্ন আদালতে। হাইকোর্টের মতে, এক বার হাত ধরেছে বলেই তাকে পকসোয় অভিযুক্ত করা যায় না।