নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
সংশ্লিষ্ট কমিটি রিপোর্ট দিলেই মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণ করবে সরকার। শুক্রবার দেশের কন্যাদের এমনই আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বলেন, “মেয়েদের বিয়ের বয়স কত হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেয়েরা লিখিত ভাবে আমার কাছে জানতে চেয়েছে, কেন কমিটি এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারল না। আমি আশ্বস্ত করছি, রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই সরকার এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দেবে।”
মেয়েদের বিয়ের বয়স কত হবে সেই প্রসঙ্গের পাশাপাশি মহিলাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টিও এ দিন তুলে ধরেন মোদী। তিনি বলেন, “দেশের মেয়েদের সুবিধার্থে আমরা সঠিক পদক্ষেপ করছি। জল মিশনের মাধ্যমে আমরা প্রত্যেক ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। ১ টাকায় স্যানিটারি প্যাডের ব্যবস্থা করেছি।”
দেশের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে মোদী জানিয়েছিলেন, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়ানো যায় কি না, তা পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট কমিটি রিপোর্ট জমা দিলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। গত ২২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র জানায়, মেয়েদের মাতৃত্ব এবং বিয়ের বয়সের মধ্যে সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে একটা টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক পরিষেবা চালু হলে বাতিল হবে বহু প্যাসেঞ্জার, এক্সপ্রেস ট্রেন
এখন এ দেশে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮, পুরুষদের ২১। এই দুইয়ের ফারাক ঘোচানোর দাবি আগেও তোলা হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২০-২১ সালের বাজেট ভাষণে বলেছিলেন, ‘‘তৎকালীন ‘সারদা আইন (১৯২৯)’ সংশোধন করে নারীর বিয়ের বয়স ১৫ থেকে ১৮ করা হয়েছিল। তবে ভারতের অগ্রগতির সঙ্গে মহিলাদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। ‘মেটারনাল মর্টালিটি রেট’ বা প্রসূতি মৃত্যুর হার কমানো এবং মহিলাদের পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। মাতৃত্বে প্রবেশের বয়সের পুরো বিষয়টিকেই এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা প্রয়োজন।’’
অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সূত্র ধরেই গত জুন মাসে রাজনীতিবিদ তথা সমাজকর্মী জয়া জেটলির নেতৃত্বে একটি ১০ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গড়ে তোলা হয়।