National News

শিশু সুরক্ষার নম্বরে যৌনকর্মী চেয়ে নিয়মিত ফোন, তিতিবিরক্ত কেন্দ্র

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৪০
Share:

সরকারি হেল্পলাইন নম্বর ছড়িয়ে পড়ল পর্নোগ্রাফি সাইটে।

ছিল শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জানানোর ফোন নম্বর। সরকারি সেই টোল ফ্রি নম্বরেই যৌনকর্মী চেয়ে রাত-দিন ফোন। ছড়িয়ে পড়ল পর্নোগ্রাফি সাইটে। শেষমেষ ওই নম্বর বন্ধই করে দিতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। চালু হয়েছে বিকল্প একটি নম্বর। পুলিশের দ্বারস্থ কমিশন।

Advertisement

প্রায় দু’বছর চালু থাকার পর গত সেপ্টেম্বর থেকেই বন্ধ ওই নম্বর। কিন্তু ফের সেই নম্বরই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন কমিশনের কর্তারা। কারণ বিকল্প নম্বর চালু হলেও তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে কমিশন।

শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন রুখতে পকসো আইনে ২০১৬ সালে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এই টোল ফ্রি নম্বর চালু হয়। টেলিফোনে অভিযোগ দায়ের করতেই ওই ১০৯৮ নম্বরটি চালু করা হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ওই ফোনে প্রতিদিন নানা ধরনের অবাঞ্ছিত ফোন আসতে থাকে। কেউ ফোন করে যৌনকর্মী চাইতে শুরু করেন। কেউ আবার যৌনকর্মীদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। এ ছাড়াও নানা ধরনের অশ্লীল কথাবার্তাও চলতে থাকে। কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘নিয়মিত এই সমস্যা চলতে থাকায় আমরা বাধ্য হয়ে সেই নম্বর বন্ধ করে দিয়েছি।

Advertisement

আরও পড়ুন: তনুশ্রীর সঙ্গে সেটে কী হয়েছিল? ভাইরাল হল ১০ বছর আগের ভিডিও

কিন্তু কীভাবে এই বিপত্তি?

কমিশনের কর্তারা জানিয়েছেন, ফোন কলারদের সঙ্গে কথা বলে এটা বোঝা গিয়েছে যে, পর্নোগ্রাফি সাইট থেকেই ওই নম্বর তাঁরা পেয়েছেন। আধিকারিকরা মনে করছেন, টিভি রেডিয়োর মতো বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমেও এই ফোন নম্বর দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে ‘সেক্স’, বা ওই জাতীয় শব্দ ট্যাগ করা হয়। তার জেরে পর্নোগ্রাফি সাইটগুলিতেও ঢুকে পড়ে ওই নম্বর। ফলে অনেকে ভুল করে ওই নম্বরটি যৌন পরিষেবা সম্পর্কিত হেল্পলাইন বলে মনে করেন।

আরও পডু়ন: মাতৃগর্ভে যুদ্ধবিদ্যা শিখেছিলেন অভিমন্যু, এটা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণিত! দাবি উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীর

জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য যশোবন্ত জৈন জানিয়েছেন, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সরকারি টেলি সার্ভিস প্রোভাইডার এমটিএনএল-এর সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘সারা দেশে ওই নম্বর দিয়েই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষও ওই ১০৯৮ নম্বরটিই জানেন। নতুন নম্বর চালু হলে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে বলেই আমরা ওই নম্বর বাতিল করতে চাইছি না। বরং আবার চালু করার চেষ্টা করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement