হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেসের সভাপতির চেয়ারে চা জনগোষ্ঠীর কোনও প্রতিনিধিকে বসানোর দাবি উঠল।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুণ বরার বরাক সফরের পর থেকেই করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে দলের জেলা সভাপতির পদ ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়েছে। প্রদেশ সভাপতির হাইলাকান্দি সফরের দিন বরাকের তিন জেলার একটিতে দলীয় সভাপতি হিসেবে সংখ্যালঘু কাউকে মনোনীত করার দাবি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায় এবং হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন বড়লস্কর-সহ কয়েক জন নেতা এই প্রস্তাবেব পক্ষে মত ব্যক্ত করেছিলেন।
এর পর থেকেই হাইলাকান্দিতে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পদ ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে। দলের নেতাদের একাংশে বক্তব্য, বর্তমান জেলা সভাপতি অশোক দত্তগুপ্তের বয়স হয়েছে। অন্য দিকে গত বিধানসভা নির্বাচনে হাইলাকান্দির তিনটি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। তার পর থেকেই হাইলাকান্দিতে জেলা কংগ্রেস সভাপতি বদলের দাবি উঠতে থাকে। দলের অন্দরমহলের খবর, ওই পদের জন্য কয়েকটি নতুন মুখ নিয়ে আলোচনা চলছে। তালিকায় রয়েছেন গৌতম রায়, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইসাক আলি বড়ভুঁইঞা, রাহুল রায়, সামসুল ইসলাম বড়লস্কর। এমনই পরিস্থিতিতে আজ হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেস ভবনে হিন্দিভাষী কংগ্রেসিরা সাংবাদিক বৈঠকে জেলা সভাপতি পদে একজন চা জনগোষ্ঠীর কোনও নেতাকে বসানোর দাবি জানিয়েছেন। হরিমোহন রাজভর, রাজেন্দ্র রবিদাস, মন্টু ফুলমালি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ বিষয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অশোক দত্তগুপ্ত কোনও মন্তব্য করতে চাননি।