ফাইল চিত্র।
শরদ পওয়ার, ফারুখ আবদুল্লার পথেই হাঁটলেন গোপালকৃষ্ণ গাঁধী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হতে চান না। সোমবার এক বিবৃতিতে নিজের ‘অনিচ্ছা’র কথা জানিয়ে দিলেন মহাত্মা গাঁধীর পৌত্র। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ‘আরও ভাল’ কাউকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোর অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, এই ব্যাপারে তাঁর নাম প্রস্তাব করায় কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এমন একজনকে প্রার্থী করা হোক, যিনি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ‘হারা ম্যাচ’ জেনেই বিরোধী শিবির থেকে কেউ প্রার্থী হতে চাইছেন না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। প্রথমে এনসিপি নেতা পওয়ারের নাম চর্চায় উঠে আসে। কিন্তু প্রথম থেকেই এই ব্যাপারে অনিচ্ছা দেখান এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক। গত সপ্তাহে বিরোধীদের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পওয়ারের নাম প্রস্তাব করেন। সেই প্রস্তাব শরদ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানা যায়। পওয়ারকে ঘিরে জল্পনার মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা ও গোপালকৃষ্ণের নাম চর্চায় উঠে আসে। তাঁদেরও নাম বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী প্রস্তাব করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল।
সম্প্রতি বিবৃতি জারি করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়েছেন আবদুল্লা। এখনও সক্রিয় রাজনীতিতে থাকতে চান এবং এই অনিশ্চিত সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরের পাশে দাঁড়িয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে বার্তা দেন তিনি। পওয়ার-আবদুল্লার প্রত্যাখ্যানের পর গাঁধী-পৌত্র কী সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। শেষমেশ তিনিও প্রস্তাব ফেরালেন। উল্লেখ্য, এর আগে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হয়েছিলেন গোপালকৃষ্ণ। কিন্তু সে বার বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে হেরে যান।
এই আবহে মঙ্গলবার ফের দিল্লিতে বৈঠকে বসতে চলেছে বিরোধী দলগুলি। এ বার বৈঠক ডেকেছেন পওয়ার। তবে এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা। থাকার কথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই বৈঠকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নির্বাচনে কোনও ফয়সালা হয় কি না, সেটাই দেখার।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।