এই ডুডলের মাধ্যমেই যামিনী রায়কে শ্রদ্ধা জানাল গুগ্ল। ছবি: সংগৃহীত।
গ্রামবাংলার পটশিল্পকে তিনি তুলে এনেছিলেন তাঁর তুলির টানে। ১৭ ক্যানভাস জুড়ে ঠাঁই পেয়েছিল রামায়ণের কাহিনিও। বাঙালি তথা ভারতীয় শিল্পচর্চার ইতিহাসে এক নিজস্ব ঘরানা গড়েছিলেন তিনি। সেই কিংবদন্তি শিল্পী যামিনী রায় এ বার উঠে এলেন গুগ্ল ডুডলে। মঙ্গলবার গুগ্লের প্রথম পাতা খুলতেই চোখে পড়বে তাঁর আঁকা ছবি। বাংলার লোকশিল্পের ছোঁয়া রয়েছে তার পরতে পরতে। শিল্পীর ১৩০তম জন্মবার্ষিকীতে এ ভাবেই তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ দিল এই বহুজাতিক সংস্থা।
আরও পড়ুন
ক্যাটে ৯৮.৫৫% নম্বর পেলেন ৮০% দৃষ্টিহীন প্রাচী
অয়েল পেন্টিংয়ের বদলে লোকশিল্পীদের ব্যবহার করা মাধ্যমেই ফিরে যান যামিনী রায়। ছবি: সংগৃহীত।
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে ১৮৮৭-এ আজকের দিনেই জন্ম যামিনী রায়ের। শিল্পক্ষেত্রে বেঙ্গল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছাত্র ছিলেন তিনি। গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজে ভর্তির সময় অবন ঠাকুর ছিলেন সেখানকার ভাইস-প্রিন্সিপাল। সেখানেই এই শিল্পের কাঠামোগত পরিচয় যামিনী রায়ের। ধ্রুপদী পাশ্চাত্য স্টাইলে শিক্ষিত হলেও ধীরে ধীরে সেখান থেকে সরে এসে গ্রামবাংলার লোকশিল্পে আশ্রয় নেন তিনি। পাল্টে ফেলেন শিল্পচর্চার মাধ্যমও। অয়েল পেন্টিংয়ের বদলে লোকশিল্পীদের ব্যবহার করা মাধ্যমেই ফিরে যান যামিনী রায়। কালিঘাট পটশিল্পের মতোই তুলির বড় বড় টানে আঁকতে থাকেন একের পর এক ছবি।
গত শতকের চল্লিশের দশকে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে যামিনী রায়ের নাম পৌঁছে যায় ইউরোপীয় মানুষজনের ঘরে ঘরে। লন্ডন-নিউ ইয়র্কের শিল্পরসিকদের মুখে মুখে চর্চিত হতে থাকেন তিনি। কালিঘাট পটশিল্পের আদতে তৈরি রামাযণের কাহিনি তিনি এঁকে ফেলে ১৭টি ক্যানভাস জুড়ে। ১৯৫৪-তে যামিনী রায়কে পদ্মভূষণে সম্মানিত করেন তৎকালীন ভারত সরকার। ১৯৭২-এ প্রয়াণ ঘটে এই শিল্পীর।