সোনামুড়ার ভাসমান জেটি। —নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ জানিয়েছেন, জলপথে ত্রিপুরায় পণ্য আসবে। আগামী ১৪ জুলাই হলদিয়া বন্দর থেকে ১৮ জুলাই সোনামুড়ায় পৌঁছবে ছোট জাহাজ।
মুখ্যমন্ত্রীর আজ আগরতলা টাউন হলে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ১৪ জুলাই হলদিয়া বন্দর থেকে রড বোঝাই ছোট জাহাজ ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওয়না দেবে। ১৮ জুলাই ওই জাহাজ রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমাতে নবনির্মিত ভাসমান জেটি-তে এসে পৌঁছবে।
মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে সোনামুড়ায় এই ভাসমান জেটি তৈরি করেছেন ভারতের অন্তর্দেশীয় নৌ পথ কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, সোনামুড়া শ্রীমন্তপুর নির্মীয়মাণ জেটি থেকে মূল সড়ক সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো দ্রুত নির্মাণ করার জন্য সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে নদীপথে পণ্য পরিবহণ দ্রুত শুরু করার উপর জোর দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী গোমতী নদীর গভীরতা বাড়ানোর জন্যে সংশ্লিষ্ট দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন যাতে শীতকালে নদীর নাব্যতা বজায় থাকে। ইতিমধ্যে এই জেটির নির্মাণকারী সংস্থা জেটিটিকে রাজ্যের কাছে হস্তান্তর করে দিয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে জেটিটি আগে দিল্লিতে যমুনা নদীতে করার কথা ছিল। পরবর্তী সময়ে গুরুত্ব বুঝে ত্রিপুরাতে স্থাপন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মে ভারত ও বাংলাদেশের নৌ যোগাযোগের পরিসর বৃদ্ধিতে দুটি নতুন রুট চালুর সাথে দুই দেশের পাঁচটি করে নৌবন্দরকে ‘পোর্ট অব কল’ ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে, ভারতের সঙ্গে নৌ রুটের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০টি। ‘পোর্ট অব কল’ বেড়ে হয়েছে ১১টি। নতুন দুটি নৌরুট হল— ত্রিপুরার সোনামুড়া-দাউদকান্দি এবং দাউদকান্দি-সোনামুড়া। নতুন পাঁচটি ‘পোর্ট অব কল’ — ভারতের ধুলিয়ান, ময়া, কোলাঘাট, সোনামুড়া ও জগিগোপা এবং বাংলাদেশের রাজশাহি, সুলতানগঞ্জ, চিলমারী, দাউদকান্দি ও বাহাদুরাবাদ। এর ফলে দুই দেশের পণ্য পরিবহণকারী নৌযানগুলো ওই বন্দরে নোঙর করে পণ্য ওঠানো-নামানো এবং জ্বালানি নিতে পারবে।