—প্রতীকী চিত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে চাকরি খোয়াতে হল গোএয়ারের এক সিনিয়র পাইলটকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আচরণ সংক্রান্ত সংস্থার বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলেই তাঁকে চাকরি থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই বিমান সংস্থা। তবে গোটা ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা।
চাকরি হারানো ওই পাইলটের নাম মিকি মালিক। সম্প্রতি টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মূর্খ। পাল্টা আমাকে মূর্খ বলতেই পারেন আপনারা। অসুবিধা নেই। আমি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নই। কারণ দেশের প্রধানমন্ত্রী নই আমি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মূর্খই। পিরিয়ড’।
মিকির এই টুইট ঘিরে বিতর্ক দানা বাধতে সময় লাগেনি। তার জেরে তড়িঘড়ি টুইটটি মুছে ফেলেন তিনি। নিজের অ্যাকাউন্টও লক করে দেন। তার পর ক্ষমা চেয়ে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে টুইটের জন্য ক্ষমা চাইছে। আমার অন্য কোনও টুইটেও যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আমি। তবে আমার কোনও টুইটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে গোএয়ারের কোনও সংযোগ নেই’।
আরও পড়ুন: উপকূলে ভেসে এল দেহাংশ, ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা
এর পর ঘটনার ৩ দিনের মাথায় তাঁকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে গোএয়ার। কারণ হিসেবে জানানো হয়, এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নিয়ে চলে সংস্থা।
বিষয়টি নিয়ে সংস্থার এক মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘গোএয়ার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলে। আইনকানুন, নীতি নিয়ম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আচরণ সংক্রান্ত সংস্থার বিধিনিয়ম সমস্ত কর্মীদের মেনে চলা বাধ্যতামূলক। তার পরেও কোনও কর্মী বা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কেউ যদি নিজের ব্যক্তিগত মতামত সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন, তার দায় সংস্থার নয়।’’
আরও পড়ুন: হঠাৎ রাজধানীতে সন্তোষ-সাক্ষাৎ, আবার বিতর্কে রাজ্যপাল ধনখড়
তবে এই প্রথম নয়। সোশ্যাল মিডিয়া আচরণবিধির নিয়মে গত বছর জুনেই এক প্রশিক্ষণরত পাইলটকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে গোএয়ার। ওই পাইলট সীতা এবং হিন্দুত্ব নিয়ে আপত্তিজনক টুইট করেছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও পরে জানা যায় ওই পাইলটের সমনামের অন্য একটি ব্যক্তি ওই টুইটটি করেন। বিষয়টি পরে আদালতেও পৌঁছয়।