medicine

করোনার ধার কমাতে ‘আইভারমেকটিন’ ব্যবহারে ছাড়পত্র গোয়া সরকারের

করোনা মোকাবিলায় একটি ওষুধে ছাড়পত্র দিল গোয়া সরকার। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে করোনা সংক্রমণ হবে না এমন নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পানজিম শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ২১:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

Advertisement

করোনা মোকাবিলায় একটি ওষুধে ছাড়পত্র দিল গোয়া সরকার। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ ‘আইভারমেকটিন’ নামে এই ওষুধটি খেতে পারবেন। মোট ৫টি ওষুধ খেলে করোনায় সংক্রমিত মানুষের রোগের অভিঘাত অনেকটাই কমবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে জানিয়েছেন, সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই ওষুধটি পাওয়া যাবে। কারওর করোনার উপসর্গ থাক বা না থাক এই ওষুধ খেতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘‘করোনা থেকে রক্ষা পেতে আগে থেকেই এই ওষুধ খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকেই এই ওষুধ খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমস্ত সরকারি দফতরে এই ওষুধ পাওয়া যাবে।’’

গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘১২ মিলিগ্রামের আইভারমেকটিন খেতে হবে পাঁচ দিন ধরে। এই ওষুধ খাওয়ার ফলে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর সম্ভাবনা, সেরে ওঠার সময়সীমা কমে আসা থেকে শুরু করে অনেকগুলি সুবিধা হচ্ছে। ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন ও জাপানের বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা এই বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখেছেন।’’

Advertisement

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, ‘‘এই ওষুধটি এ রাজ্যেও ব্যবহার করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে আইভারমেকটিন ব্যবহার করলে করোনাজনিত ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কম হয়। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত। যদি গোয়ার মতো সকলকে খেতে বলা হয়, তবে তার অন্য বিপদ আছে। রাতারাতি ওষুধের অভাব দেখা দেবে। যাঁদের বেশি প্রয়োজন তাঁরাও হয়তো পাবেন না।’’

দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে গোয়া এই ওষুধের প্রয়োগ করছে। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে করোনা সংক্রমণ হবে না এমন নয়। তবে শরীরে রোগের প্রকোপ অনেকটাই কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ওষুধটি খেলে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে না এমন নয়। তাই আগের মতোই দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। কয়েকদিন আগেই একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, আইভারমেকটিন করোনা প্রকোপ কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ওষুধের প্রয়োগে করোনাকে প্রাণঘাতী হওয়া থেকে আটকানো যেতে পারে। এতে ফুসফুসের বড় সমস্যা আটাকানো সম্ভব বলেও দাবি করা হয়। সারা পৃথিবীর চিকিৎসকরাই এই ওষুধ ব্যবহার করছেন বলেও খবর আসে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement