—প্রতীকী ছবি।
মা-বাবার অনুপস্থিতিতে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বাড়িতে ছিল ১০ বছরের ছাত্রী। অভিযোগ, প্রায় ফাঁকা বাড়িতে টুলে চড়ে সিলিংয়ের লাগানো একটি রডের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে এই অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই চরম পথ বেছে নিয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটি।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাইসেন জেলার অমবটী গ্রামে রবিবার বিকেলে ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। সে সময় ছাগল চড়াতে গিয়েছিলেন মৃতার মা। বা়ড়ির বাইরে ছিলেন বাবাও। ৪ বছরের ভাইয়ের সঙ্গে বাড়িতে ছিল মেয়েটি। রবিবার বিকেলে তাদের ঘরে ঢুকে নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন মৃতার পরিবারের এক আত্মীয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেওয়ানগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ।
ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বীরবল সিংহ সোমবার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ আমাদের খবর দেন বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবারের এক আত্মীয়। নাবালিকার বাবা মদ্যপ। সে সময় বাড়িতে ছিলেন না তিনি। ঘটনার সময় ছাগল চড়ানোর জন্য বেরিয়েছিলেন তার মা। এই ঘটনায় কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, মদ্যপ বাবাকে নিয়ে সমস্যা হওয়া ছাড়াও মায়ের বকুনি খেতে হত নাবালিকাকে। বাড়ির এই পরিবেশের জন্য মানসিক অবসাদে ভুগত মেয়েটি। তার দেহের ময়নাতদন্তে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনাক তদন্ত শুরু হয়েছে।’’