সাত দিন পর খুঁজে পাওয়া যায় দেহ। প্রতীকী ছবি।
সাতদিন ধরে নাওয়া-খাওয়া ভুলে ১৫ বছরের কন্যার জন্য অপেক্ষা করছিলেন আন্ধেরির রাঠোররা। পুলিশ যখন তাঁদের বস্তাবন্দি একটা দেহের সামনে এনে দাঁড় করালো, তখন সেই মেয়ের মুখ বেঢপ ফুলে প্রায় তিন গুন। শরীর ক্ষত বিক্ষত। পচে, বিকৃত হয়ে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করেছে। সাত দিন ধরে ও ভাবেই দেহটি পড়েছিল রেল লাইনের ধারে। কী থেকে কী হল তা ভাবতে বসে রাঠোর পরিবারের শুধু একটি দৃশ্যই মনে পড়ছে—পিঠে স্কুলের ব্যাগ নিয়ে হাসি মুখে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে তাঁদের ১৫ বছরের মেয়েটি। যে সন্ধে হয়ে যাওয়ার পরও আর বাড়ি ফিরবে না।
গত ২৫ অগস্ট ১৫ বছরের বংশিতা রাঠোরকে খুন করা হয়। তার ঠিক সাত দিন পর খুঁজে পাওয়া যায় তার দেহ। শনিবার বংশিকার খুনি সন্দেহে দুই যুবককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। যারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে তাদের কুকীর্তীর কথা। বংশিতার পরিবার এখন চায় ওই দুই যুবকে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হোক। নয়তো ১০ মিনিটের জন্য ছেড়ে দেওয়া হোক তাদের হাতে। বংশিতার মা জানিয়েছেন, তিনি ওই দুই অভিযুক্তকে নিজে হাতে প্রাণে মারতে চান।
দুই অভিযুক্তের নাম সন্তোষ মাকওয়ানা এবং বিশাল আনভাবনে। দু’জনেরই বয়স ২১। পুলিশ জানিয়েছে, এঁদের মধ্যে সন্তোষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বংশিতার। কিন্তু বাড়িতে বিষয়টি ধরা পড়ে যাওয়ায় সে প্রকাশ্যেই সন্তোষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে অস্বীকার করে। এমনকি বাড়ির সদস্যদের সামনেই সন্তোষকে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বারণও করে। তার পরই বংশিতার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন সন্তোষ। আর তাঁকে সাহায্য করেন বন্ধু বিশাল। যিনি টিভিতে অপরাধমূলক ঘটনা নিয়ে তৈরি ধারাবাহিকের ভক্ত।