Petrol

Jharkhand: বন্ধুত্বের প্রস্তাব ফেরানোয় ধাওয়া করে বাড়ি এসে তরুণীকে পুড়িয়ে খুন! ১৪৪ ধারা জারি দুমকায়

মৃতার পরিবারের দাবি, জানলা দিয়ে তাঁদের মেয়ের ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। দোষীর শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দুমকা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২২ ১১:০৯
Share:

দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া খুনে উত্তপ্ত দুমকা। প্রতীকী চিত্র।

ফোনে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু তা ফিরিয়ে দেওয়ায় তাঁর বাড়ি এসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরানো হল! দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর মৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝাড়খণ্ডের দুমকার ওই গ্রামে। দোষীর শাস্তির দাবিতে তীব্র আন্দোলন শুরু করেছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

Advertisement

ঘটনার শুরু গত মঙ্গলবার। এক যুবক প্রতিবেশী তরুণীর গায়ে পেট্রল ঢেলে তাঁকে জ্বালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ওই তরুণীকে ভর্তি করা হয় দুমকার মেডিক্যাল কলেজে। পরে তাঁকে রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর আগে যে বয়ান দিয়েছেন তরুণী, তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, দিন দশেক আগে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে তাঁকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি রাজি হননি। পরে গত সোমবার আবার ফোন আসে। এ বার ‘বন্ধুত্ব’ না করলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। ভয় পেয়ে বাবাকে সব কথা খুলে বলেন তরুণী। বাবা তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন পরের দিন ব্যবস্থা নেবেন। এর পর রাতে যে যার ঘরে ঘুমোতে চলে যান।

Advertisement

মৃত্যুর আগে তরুণী বলেন, ‘‘ঘুমিয়েছিলাম। ভোরে (মঙ্গলবার) শরীরে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। পোড়া গন্ধ পাই। চোখ খুলতেই দেখি, ওই যুবক পালাল। আমি চিৎকার শুরু করি। আমার সারা গায়ে তখন আগুন ধরে গিয়েছে। বাবা-মা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে... পরে তারাই হাসপাতালে নিয়ে আসে।’’ মৃতার পরিবারের দাবি, জানলা দিয়ে তাঁদের মেয়ের ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে দুমকা শহর-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল শুরু করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল। ১৯ বছরের তরুণীর খুনের বিচার চেয়ে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement