সিহোরে আড়াই বছরের শিশুকে বোরওয়েল থেকে উদ্ধারে হাজির মাটি খোঁড়ার যন্ত্র। ছবি— পিটিআই।
পেরিয়ে গিয়েছে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময়। এখনও উদ্ধার করা যায়নি ৩০০ ফুট গভীর বোরওয়েলে (খেতে চাষের জন্য খোঁড়া কুয়ো) পড়ে যাওয়া আড়াই বছরের শিশুকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গর্তের ভিতর ৫০ ফুটের কাছাকাছি আটকে রয়েছে শিশুটি। কিন্তু তাকে নড়াচড়া করতেও দেখা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার সকালে মধ্যপ্রদেশের সেহোর জেলার মুঙ্গাওলি গ্রামে মাঠে খেলছিল আড়াই বছরের শিশুটি। খেলতে খেলতেই মাঠের বোরওয়েলের গর্তে পড়ে যায় সে। প্রথমে ৩০০ ফুট গভীর বোরওয়েলের ২০ ফুটে আটকে ছিল শিশুটি। পরে সেখান থেকে আরও নীচে নেমে যায় শিশুটি। সেহোরের জেলা কালেক্টর সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানান, শিশুটি বোরওয়েলের ৫০ ফুট গভীরতায় আটকে রয়েছে।
শিশুকে উদ্ধার করতে প্রশাসন থেকে নিয়ে আসা হয় মাটি খোঁড়ার মেশিন। লোকমুখে যা অধিক পরিচিত জেসিবি নামে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে চললেও এখনও শিশুকে গর্ত থেকে বার করা যায়নি। এরই মধ্যে প্রশাসন সূত্রে খবর, গর্তের মধ্যে শিশুটি নড়াচড়া করছিল। কিন্তু এখন তা-ও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে আতঙ্ক আরও বেড়েছে পরিজনদের মধ্যে।
সেহোরের পঞ্চায়েত আধিকারিক আশিস তিওয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ‘‘আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করতে যা যা করা সম্ভব, সবই করছি। বোরওয়েলের ধার ঘেষে আরও একটি কুয়ো খোঁড়া হচ্ছে। কিন্তু শিশুটি গর্তে পড়ার পর প্রায় ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখান থেকে শিশুটির নড়াচড়া করাও আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।’’
সেহোর মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের নিজের জেলা। তিনি নিজেও বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনি নিজের দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে উদ্ধারকাজে সমস্ত রকম সহায়তা সরকার দেয়। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীদেরও পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মূলত উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন তাঁরাই।