Girl Committed Suicide

মোবাইল চেয়েছিল কিশোরী, অভিভাবকেরা আবদার না মেটানোয় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছিল ওই কিশোরী। তাকে বলা হয়েছিল বোর্ডের পরীক্ষা হওয়ার পর কিনে দেওয়া হবে। কিন্তু অভিভাবকদের এই শর্তে অসন্তুষ্ট হয় সে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ১৭:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

পরীক্ষার মাঝে বাবা-মায়ের কাছে কিশোরী আবদার করেছিল তাকে মোবাইল কিনে দিতে হবে। কিন্তু তার সেই আবদারে আমল না দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হল ওই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের অম্বিকাপুরে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছিল ওই কিশোরী। তাকে বলা হয়েছিল বোর্ডের পরীক্ষা হওয়ার পর কিনে দেওয়া হবে। কিন্তু অভিভাবকদের এই শর্তে অসন্তুষ্ট হয় সে। পরীক্ষার পর নয়, তাকে এখনই মোবাইল কিনে দিতে হবে বলে পাল্টা জেদ ধরে কিশোরী। কিন্তু তার সেই দাবি না মেটাতে চাননি অভিভাবকেরা।

কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না। বাইরে কাজে গিয়েছিলেন। তাঁদের কন্যা বাড়িতে একাই ছিল। সোমবার বিকেলে বাড়িতে ফিরে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান তাঁরা। তার পর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায় কিশোরী অচৈতন্য হয়ে মেঝেতে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন কিশোরীর মৃত্যু হয়।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিশোরী কাটনাশক খেয়েছিল। কিশোরীর বাবা জানান, তাঁদের কন্যা মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য জেদ ধরেছিল। কিন্তু পরীক্ষা চলায় পরে কিনে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, মোবাইল না পেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে কিশোরী। তবে নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement