প্রতীকী ছবি।
স্কুল থেকে ফেরার পথে দাদার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পর মুণ্ড কেটে ফেলে দিল ভাই ও তার ছেলেরা। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সাগরে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৩ মার্চ স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল বছর বারোর ওই কিশোরী। অভিযোগ, মাঝপথেই তাকে অপহরণ করে কাকা-দাদারা। এ দিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হয়ে এলেও মেয়ে না ফেরায় বাবা-মা গ্রামের লোকজনদের নিয়ে খুঁজতে বেরোন। দীর্ঘ ক্ষণ খোঁজাখুঁজি করলেও কিশোরীর হদিস মেলেনি। অবশেষে পুলিশে অভিযোগ করেন কিশোরীর বাবা-মা।
১৪ মার্চ গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি মাঠের মধ্যে মুণ্ডহীন এক কিশোরীর দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটা কাস্তে, রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুম্বই হামলাকে ‘ন্যক্কারজনক’ বলে উল্লেখ করল চিন, সন্ত্রাসবিরোধী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে তৎপরতা
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, ক্ষতির মুখে এয়ার ইন্ডিয়া
কারা ওই কিশোরীকে খুন করল? কেনই বা করল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওই গ্রামেই কিশোরীর কাকা থাকে। সন্দেহ হওয়ায় তাকে জেরা করে পুলিশ। কিন্তু সে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য ছোটে পটেল নামে গ্রামেরই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। গ্রামবাসী এবং কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য পুলিশের হাতে আসে। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভুল তথ্য দিয়েছিল কিশোরীর কাকা। তবে সন্দেহ আর দৃঢ় হওয়ায় এবং কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরীর কাকা তার এক ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এক ছেলের হদিস পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, স্কুল থেকে ফেরার পথে কিশোরীর তুতো দাদা তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় তাকে। সেখানে তিন জন মিলে গণধর্ষণ করে। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানানোর হুমকি দিলে কাকিমা গলা টিপে খুন করে কিশোরীকে। অভিযোগ, তার পর গলা কেটে মাঠের মধ্যে ফেলে দিয়ে আসে বাকিরা।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)