প্রতীকী ছবি।
আবারও কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। গত সোমবারই বাড়িতে ঢুকে এক কিশোরীকে তাঁর বাবা-মায়ের সামনে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। তার ঠিক তিন দিনের মাথায় আবারও গোয়ালিয়রে অপহরণ করে গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এল।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তা থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যান দুই যুবক। বাইকে চেপে তাঁরা আসেন। তার পর কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। শুধু গণধর্ষণই নয়, তার পর কিশোরীকে একটি উঁচু জায়গা থেকে নীচে ফেলেও দেন তাঁরা। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে কিশোরী।
গোয়ালিয়রের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিরঞ্জন শর্মা জানিয়েছেন, ঘটনাটি গত ২৯ জানুয়ারির। বৃহস্পতিবার তার পরিবার একটি মামলা দায়ের করেছে। কোচিংয়ে যাচ্ছিল ওই কিশোরী। সেই সময় বাইকে চেপে দুই যুবক আসেন। কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যান। তার পর তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কিশোরী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে উঁচু জায়গা থেকে ফেলে দেওয়া হয়। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এই ঘটনার নিন্দা করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। তিনি বলেন, “গোয়ালিয়রের এই ঘটনা রাজ্যকে লজ্জায় ফেলেছে।”
গত সোমবার রাতে কয়েক জন দুষ্কৃতী গোয়ালিয়রেই এক কিশোরীর বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়ে। তার পর বন্দুক বার করে খুন করার হুমকি দেখায়। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কিশোরীর বাবা-মায়ের হাত-পা বেঁধে দেয়। তার পর তাঁদের সামনেই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও শোরগোল চলছে। তার মধ্যেই এই শহরে আরও একটি গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।