পুলিশের দাবি ধর্ষণের ঘটনা সাজানো। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে এক মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় নয়া মোড়। পুলিশের দাবি, ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। পুরোটাই সাজানো। সম্পত্তি হাতানোর লোভে অপহরণ এবং ধর্ষণের ঘটনা সাজিয়েছিলেন মহিলা। সেই অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে মহিলাকে।
গাজিয়াবাদ (সিটি-১) পুলিশ সুপার নিপুণ আগরওয়াল বলেন, “মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। ১৪ দিনের জন্য তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।” আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল মহিলার তিন সহযোগী আজাদ, আফজল এবং গৌরবকে।
দিন কয়েক আগেই দিল্লি থেকে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল গাজিয়াবাদে। মহিলাকে বস্তার ভিতরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তাঁর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়।
তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথম থেকেই দাবি করেছে, এটি সাজানো ঘটনা। একটি জমির দখলকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণের ঘটনা সাজনোর অভিযোগ উঠেছে মহিলার বিরুদ্ধে। মেরঠে পুলিশের আইজি প্রবীণ কুমার বলেন, “মহিলা অপহরণের যে অভিযোগ তুলেছিলেন, সেটি সাজানো। তিনি নিজের ইচ্ছাতেই নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়েছিলেন।” আইজি-র আরও দাবি, মহিলার ফোনের কথোপকথন থেকে জানতে পারা গিয়েছে যে, এই ঘটনাটিকে প্রকাশ্যে আনার জন্য কয়েক জনকে টাকাও দেওয়া হয়েছিল। এমনকি মহিলার যৌনাঙ্গে বীর্যের নমুনা মেলেনি বলেও দাবি পুলিশের।
যে হাসপাতালে মহিলাকে ভর্তি করানো হয়েছিল চিকিৎসার জন্য, সেই জিবিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও দাবি করেছেন যে, মহিলার অবস্থা স্থিতিশীল। অভ্যন্তরীণ কোনও আঘাত নেই।