মহারাষ্ট্রের তালোজা সেন্ট্রাল জেল থেকে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী গৌতম নওলখা। থাকবেন গৃহবন্দি। — ফাইল ছবি।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিক ও সমাজকর্মী গৌতম নওলখা শেষ পর্যন্ত জেল থেকে বেরোতে পারলেন। শনিবার মুম্বইয়ের তালোজা সেন্ট্রাল জেল থেকে তিনি মুক্তি পান। এখন থেকে গৃহবন্দি থাকবেন গৌতম। এ জন্য তাঁকে মুম্বই পুলিশের হাতে সঁপে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে তাঁকে গৃহবন্দি রাখা হোক, আদালতে এই আবেদন করেছিলেন গৌতম। আদালত তা মঞ্জুর করে। সেই নির্দেশকে এনআইএ চ্যালেঞ্জ জানায় সুপ্রিম কোর্টে। এনআইএর দাবি, চিকিৎসা নিয়ে জেনেশুনে আদালতকে ভুল পথে চালিত করেছেন ৭০ বছরের গৌতম। কিন্তু শীর্ষ আদালত এনআইএর আবেদন খারিজ করে দিয়ে গৌতমকে গৃহবন্দি রাখার পক্ষেই রায় দেয়। সেই রায় অনুযায়ী, শনিবার বিকেলে তালোজা জেল থেকে মুক্তি পেলেন গৌতম। তিনি বাড়িতে থাকাকালীন তাঁর উপর নজর রাখবে মুম্বই পুলিশ।
২০১৮-র ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে দলিত ও উচ্চবর্ণের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাতে এক দলিত যুবকের মৃত্যু হয়। দলিতদের উপর হামলার অভিযোগে হিন্দুত্ববাদী দুই নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এই মামলাতেই একে একে গ্রেফতার করা হয় সুধীর ধাওয়ালে, সোমা সেন, সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ পেরেরা, রোনা উইলসন, আনন্দ তেলতুম্বডে, ভারাভারা রাও, হানি বাবু, ভার্নন গঞ্জালভেস, সুরেন্দ্র গ্যাডলিং, গৌতম নওলখার মতো ব্যক্তিত্বকে। পুণে পুলিশের দাবি ছিল, ওই সমাবেশের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল সিপিআই (মাওবাদী)-এর।
সেই মামলাতেই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, গৌতমকে যেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং গৃহবন্দি রাখা হয়। কিন্তু নির্দেশ পালনে বিলম্ব হয়। তা নিয়ে শুক্রবার আদালত কড়া পর্যবেক্ষণ নথিভুক্ত করে। এনআইএকে ইচ্ছে করে দেরি করানোয় অভিযুক্ত করে। শনিবার শেষ পর্যন্ত জেল থেকে বেরোলেন গৌতম।