গ্যাস লিকের কারণে ধোঁয়াশার আস্তরণ তৈরি হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৮৪ সালে ভোপালের গ্যাস দুর্ঘটনার স্মৃতি ফিরিয়ে আনল মহারাষ্ট্রের অম্বরনাথ। একটি রাসায়নিক কারখানা থেকে গ্যাস লিক করে বিস্তীর্ণ এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, একটা ধোঁয়াশার মতো আস্তরণ তৈরি হয়েছে এলাকা জুড়ে। গ্যাস লিকের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্যাস এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে, দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছে গোটা শহরে। চোখ, নাক-মুখ এবং গলায় জ্বালা অনুভব করছেন শহরবাসী। যে ভাবে শহরের উপরে একটি ধোঁয়াশার আস্তরণ পড়েছে, প্রথম দেখাতেই মনে হতে পারে কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, প্রয়োজন ছাড়া শহরবাসীকে রাস্তায় বার না হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় বার হলেও নাক, মুখ ভাল করে ঢেকে রাখতে হবে।
তবে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, গ্যাস লিক হলেও পরিস্থিতি খারাপ পর্যায়ে পৌঁছয়নি। কী ভাবে পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়েই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করে পদক্ষেপ করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই শহরবাসীরা গলা, নাক, চোখ এবং মুখে জ্বলন অনুভব করতে শুরু করেন। অনেকর আবার শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তখনও বিষয়টি জানাজানি হয়নি যে, কী ভয়ানক কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যে শহরে গ্যাস লিকের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই ওই রাসায়নিক কারখানায় পৌঁছন দমকল এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের আধিকারিকরা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতিরও অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনাই স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে ১৯৮৪ সালে ভোপালের গ্যাস দুর্ঘটনার। ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানায় গ্যাস লিক হয়ে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যা আজও অন্যতম কুখ্যাত ঘটনা হিসাবেই চিহ্নিত।