TMC

TMC-GSP: বিজেপির শরিক দল অসমে চায় তৃণমূলকে

বড়োভূমিতে বিপিএফের একাধিপত্যের মধ্যেই দু’দফায় কোকরাঝাড় থেকে নির্দল সাংসদ হয়েছেন অ-বড়োদের প্রতিনিধি তথা প্রাক্তন আলফা কমান্ডার নব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২১ ০১:৩৯
Share:

নবকুমার শরনিয়া ছবি সংগৃহীত।

অসমে বিজেপির মিত্র, গণসুরক্ষা পার্টি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে আলোচনা চালাচ্ছে। দলের প্রধান নবকুমার শরনিয়ার মতে, ২৫ লক্ষ বাঙালিকে একজোট করে অসমে তৃণমূলকে শক্তিশালী করা দরকার। কারণ, রাজ্যে শক্তিশালী বিরোধী খুবই প্রয়োজন। না-হলে শাসক দল স্বেচ্ছাচারী হয়ে পড়বে। নবকমারের কথায়, “নরেন্দ্র মোদীর বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে উত্তর-পূর্ব বেশি লাভবান হবে।”

Advertisement

বড়োভূমিতে বিপিএফের একাধিপত্যের মধ্যেই দু’দফায় কোকরাঝাড় থেকে নির্দল সাংসদ হয়েছেন অ-বড়োদের প্রতিনিধি তথা প্রাক্তন আলফা কমান্ডার নব। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় দলের ভিত মজবুত করতে তৃণমূল এক দিকে যেমন রাইজর দলের বিধায়ক অখিল গগৈয়ের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে, এর পাশাপাশি বড়োভূমিতে থাকা প্রচুর বাঙালি ও মুসলিম ভোট টানতে আলোচনা চালাচ্ছে নবকুমারের সঙ্গেও। আলোচনার কথা স্বীকার করে নবকুমার বলেন, “অসমের ২৫ লক্ষ বাঙালি বিজেপির বদলে তৃণমূলকে ভোট দিলেই ছবিটা বদলে যাবে। গণসুরক্ষা পার্টিকে শুধু বড়োভূমির দল হিসেবে না রেখে জাতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে আমরা হাত মেলাতে পারি।”

পরিষদ ভোটে বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছিল গণসুরক্ষা পার্টি। এ প্রসঙ্গে নবকুমারের ব্যখ্যা, “আমাদের মিত্রতা শুধুই বিটিআর এলাকায়। বিধানসভা বা লোকসভায় নয়। এখানে থাকা হিন্দু ও মুসলিম বাংলাভাষীদের এনআরসি ও ডি-ভোটারের নামে অনেক হেনস্থা সহ্য করতে হয়। সকলে মিলে তৃণমূলকে সমর্থন জানালে পরের বার তারা পরিষদও দখল করতে পারে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement