ভারতে তৈরি চারটি কাশির সিরাপ নিয়ে বিতর্ক। প্রতীকী ছবি।
আফ্রিকার গ্যাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় আঙুল উঠেছিল ভারতে তৈরি চারটি কাশির সিরাপের দিকে। এই ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিশেষ কমিটি তৈরি করেছিল ভারত সরকার। এই ঘটনা নিয়ে যে তথ্য তুলে ধরেছিল ‘হু’, তা ওই শিশুদের মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করার পক্ষে উপযুক্ত নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রের ওই কমিটি। শনিবার এ কথা ‘হু’কে জানিয়েছেন ‘ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’ (ডিসিজিআই) ভি জি সোমানি।
গ্যাম্বিয়ায় মৃত শিশুদের চিকিৎসার যে তথ্য দিয়েছিল ‘হু’, তা অপর্যাপ্ত বলে শনিবার জানিয়েছেন সোমানি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম বৈঠকে কমিটি জানিয়েছে, শিশুদের চিকিৎসা সম্পর্কিত যে তথ্য তুলে ধরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, তা তাদের মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের পক্ষে উপযুক্ত নয়।’’
হরিয়ানার সোনিপতে ‘মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড’ নামের যে ওষুধ নির্মাতা সংস্থার তৈরি চারটি কাশির সিরাপ ব্যবহার ঘিরে সংশয় দেখা গিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে তদন্তের গতিবিধি জানতে চেয়ে গত ১৩ অক্টোবর ডিসিজিআই-কে চিঠি দেয় ‘হু’। সেই প্রেক্ষিতেই শনিবার ডিসিজিআই-এর তরফে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই শিশুদের কী কী উপসর্গ ছিল, প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের অসুস্থতা কেমন ছিল, হাসপাতালে ভর্তি করানোর আগে ও পরে তাদের কী চিকিৎসা হয়েছে, কী কী ওষুধ দেওয়া হয়েছে— এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিশদে তথ্য জানতে চেয়ে ইমেল করেছেন সোমানি।
প্রসঙ্গত, ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুতে আঙুল উঠেছে ‘মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস’ নামে হরিয়ানার সোনিপতের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার দিকে। তাদের তৈরি চারটি কাশির সিরাপের সঙ্গে শিশুগুলির মৃত্যুর যোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ‘হু’। ওই চারটি কাশির সিরাপ ব্যবহার করতে নিষেধও করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল পড়ে যায়। কেন্দ্রের নির্দেশে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ বা সিডিএসসিও।