জি-২০ দেশগুলির ভিডিয়ো সম্মেলন। ছবি: এএফপি।
করোনার ধাক্কায় মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একসঙ্গে লড়াইয়ে সংকল্প উঠে এল জি-২০ দেশগুলির ভিডিয়ো সম্মেলনে। আজ বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেহাল বিশ্ব অর্থনীতির হাল ফেরাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে পুরোপুরি সহযোগিতা করা হবে। জি-২০-র অধীনে সমস্ত তহবিলকে আরও শক্তিশালী করে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ব্যবহার করা হবে। বিনা বাধায় যাতে দেশগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলতে পারে, তাতে জোর দেওয়া হবে। মানুষের জীবিকায় যাতে সঙ্কট তৈরি না-হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশগুলির অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে বৃদ্ধির পথে ফেরাতে হবে। আজ রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, জি-২০-র পক্ষ থেকে অবিলম্বে বড় অঙ্কের সহায়তা দিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির অর্থনীতি, কর্মী এবং ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার সিদ্ধান্ত আজ নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বক্তব্যে জানান, এত দিন পর্যন্ত জি-২০ বিভিন্ন দেশগুলির বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলির আন্তঃবাণিজ্যিক সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষাকেই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। কিন্তু এখন সময় এসেছে সামাজিক ও মানবিক দিককে সামনে এনে সহযোগিতা বাড়ানোর। করোনাভাইরাসের এই চ্যালেঞ্জকে সুযোগ হিসাবে কাজে লাগানোর ডাক দিয়েছেন মোদী বিশ্বের নেতাদের সামনে। করোনার টিকা তৈরি থেকে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও যন্ত্রাদি সরবরাহের ক্ষেত্রে কোথাও যেন বাধা না তৈরি হয়, সে দিকেও জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে কোনও একটি দেশের গবেষণা যাতে সহজেই এবং দ্রুত অন্য দেশে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে জি-২০ রাষ্ট্রগুলির কাছে আহ্বান জানান নরেন্দ্র মোদী।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য ইতিমধ্যেই বেজিংকে দায়ী করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে দ্বৈরথ তৈরি হয়েছে আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে। এক দিক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সঙ্কট, অন্য দিকে বিষয়টিকে নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি— এই প্রেক্ষাপটে আজকের বৈঠকটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। বিষয়টি নিয়ে রাতের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে বিদেশসচিব শ্রিংলা অবশ্য জানিয়েছেন, দোষারোপ কোনও দেশকেই করা হয়নি।