Uttarkashi Tunnel Collapse

উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গে ফের ধস! পাইপ ঢোকানো গেল না, দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে নতুন যন্ত্র

উদ্ধারকাজে দেরি হওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে অন্য শ্রমিকেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। বুধবার সুড়ঙ্গে নতুন করে ধস নামে। ফলে উদ্ধারের জন্য যে পাইপ ঢোকানোর চেষ্টা চলছিল, তা ব্যাহত হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

উত্তরকাশী শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:১৫
Share:

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।

উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গে পাইপ ঢোকাতে গিয়ে বিপত্তি। নতুন করে ধস নেমেছে ওই সুড়ঙ্গে। উদ্ধারকারী দলের দু’জন সদস্য জখম হয়েছেন। দিল্লি থেকে নতুন যন্ত্র আনা হচ্ছে। আপাতত থমকে উদ্ধারকাজ।

Advertisement

উদ্ধারকাজে দেরি হওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে অন্য শ্রমিকেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। স্লোগান উঠছে, ‘‘আমাদের লোকেদের উদ্ধার করো।’’ এই পরিস্থিতিতে সুড়ঙ্গের আশপাশে বেশি ভিড় না করার আবেদন জানাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

৫০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে আছেন শ্রমিকেরা। সুড়ঙ্গটিতে যখন ধস নামে, সেই সময় ৪০ জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। তাঁরা কেউই বেরোতে পারেননি। পাইপের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। তবে শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।

Advertisement

ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে তার মধ্যে চওড়া পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু পাইপ ঢোকানোর জন্য খুঁড়তে গেলেই সমস্যা হচ্ছে। কোথাও না কোথাও নতুন করে ধস নামছে। মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ নতুন করে ধ্বংসস্তূপ খোঁড়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু ধস নামায় তা বন্ধ রয়েছে। দিল্লি থেকে মাটি খোঁড়ার আধুনিক যন্ত্র আনা হচ্ছে। ঘণ্টায় পাঁচ মিটার করে খোঁড়ার ক্ষমতা আছে সেই যন্ত্রের।

বুধবারের মধ্যেই উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে নতুন করে ধস নামায় তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ১৬০ জন উদ্ধারকারী উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। রয়েছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো টিবেটান পুলিশ এবং বর্ডার রোডওয়েজ়ের বাহিনী।

ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গে আটকে আছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন শ্রমিক। হুগলির বাসিন্দা জয়দেব পরামানিক, সৌভিক পাখিরা এবং কোচবিহারের মনির তালুকদারের পরিবারের ঘুম উড়েছে। উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement