সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত
রমজান মাস ও অমরনাথ যাত্রার আগে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের শাসক ও বিরোধী পক্ষ। ২০০০-এ অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের ঘোষণা করা যুদ্ধবিরতির কথাও টেনেছে তারা। আজ সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত জানিয়ে দিলেন, নিরীহ নাগরিকদের মৃত্যু এড়াতে সামরিক অভিযান বন্ধে তাঁর আপত্তি নেই। কিন্তু সেনা, রাজনৈতিক কর্মী বা পুলিশের উপরে যে হামলা হবে না, তার নিশ্চয়তা কে দেবে?
২০০০ সালে জঙ্গিদের সঙ্গে একতরফা সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করে বাজপেয়ী সরকার। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের সঙ্গেও সংঘর্ষবিরতি হয়। গত কাল তেমনই সমঝোতা চেয়েছেন কাশ্মীরের মূলস্রোতের রাজনীতিকেরা। সেনাপ্রধান জানান, কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান যে সামরিক পথে সম্ভব নয় তা তিনি বোঝেন। সে জন্যই নেতাদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে বোঝানো উচিত যে, হিংসা ছড়িয়ে কোনও লাভ হবে না। কিন্তু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা দক্ষিণ কাশ্মীরের গ্রামে যেতেই ভয় পাচ্ছেন। রাওয়তের কথায়, ‘‘কাশ্মীরি যুবকদের বোঝাতে হবে যে আজাদির স্বপ্ন সফল হওয়া সম্ভব নয়। ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী যথেষ্ট সংযম দেখিয়ে চলে। পাকিস্তান বা সিরিয়ায় এমন পরিস্থিতিতে জঙ্গিদের উপরে আকাশপথে হামলা চালানো হয়।’’ আজ একতরফা সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাবের প্রবল বিরোধিতা করেছে বিজেপির জম্মু-কাশ্মীর শাখাও।