এই আইডি কার্ড ব্যবহার করেই ব্যাঙ্ককর্তাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছিল প্রতারকেরা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ৮৫ লক্ষ টাকা খোয়ালেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষকর্তা। সিবিআই, শুল্ক, নার্কোটিক্স, আয়কর দফতরের আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ওই আধিকারিকের কাছ থেকে কয়েক দফায় ৮৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, চেকের মাধ্যমে ওই আধিকারিকের কাছ থেকে টাকা নেয় প্রতারকেরা। তার সেই টাকা দিল্লির একটি পোশাক সংস্থার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে আবার দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় ১০৫টি অ্যাকাউন্টে ওই টাকা স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের। পুলিশ একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে। যে বেসরকারি ব্যাঙ্কে দিল্লির পোশাক সংস্থার অ্যাকাউন্ট ছিল, সেই ব্যাঙ্ক আলাদা ভাবে একটি মামলা দায়ের করেছে। দিল্লি পুলিশও আলাদা ভাবে একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারিত ওই ব্যক্তির চাকরির মেয়াদ আরও তিন বছর ছিল। কিন্তু তিনি স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নেন। অবসরের যে টাকা পেয়েছিলেন সেই টাকা দিয়ে পুত্রকে বিদেশে পড়তে পাঠানোর জন্য কাজে লাগাবেন বলে স্থির করেছিলেন। পুত্রকে বিদেশে পাঠানোর সব কিছু ব্যবস্থাও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু তার আগেই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে টাকা খোয়ালেন তিনি।
এক সংবাদমাধ্যমকে ওই আধিকারিক বলেন, “আমার কাছে সিবিআই পরিচয় দিয়ে ফোন এসেছিল। ভয় দেখানো হয়, জেল হতে পারে। তার পরই বলা হয়, সিবিআইয়ের বসের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তিনি যদি মনে করেন, তবেই ছাড় পেতে পারেন। তার পরই আবার ফোন আসে। আমাকে বলা হয় যে, সব ঠিক আছে। তবে তদন্তের জন্য ৮৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তদন্তে যদি কোনও কিছু পাওয়া না যায় তা হলে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে।” ওই আধিকারিক আরও বলেন, “দু’দিন ধরে আমাকে জেরা করা হয়। বাড়ি থেকে বার হতে দেয়নি ওরা। কাউকে ফোন করতেও নিষেধ করেছিল।” তাঁর দাবি, এর পরই তাঁকে বিশাখাপত্তনমের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে সেই চেক জমা দিতে বলা হয়। কথামতো তিনি ৮৫ লক্ষ টাকার চেক জমা করেন। কিন্তু তিনি যে প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন, সেটা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি। টাকা ফেরত না পেয়ে ওই আধিকারিক পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, প্রতারিত করে ব্যাঙ্ক আধিকারিকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।