নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
হিন্দু ধর্ম এবং দেশের প্রাচীন বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে ‘আঘাত’ করার জন্য কয়েক জন নেতাকে লক্ষ্য করে তোপ দাগলেন মোদী। কারও কারও ‘দাসত্বের মানসিকতা’ নিয়েও প্রশ্ন তুললেন। তবে কোন প্রসঙ্গে কাদের তিনি নিশানা করছেন, তা স্পষ্ট করলেন না। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, প্রধানমন্ত্রী আসলে নিশানা করতে চেয়েছেন বিরোধীদের কুম্ভমেলা সংক্রান্ত মন্তব্যকে।
রবিবার মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরে একটি মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাস করেন মোদী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কারও নাম না-করেই বলেন, “আজকাল আমরা দেখি কয়েক জন নেতা ধর্মকে নিয়ে মজা করেন এবং মানুষকে ভাগ করার কাজে তাঁরা নিযুক্ত হন। অনেক সময় বিদেশি শক্তি দেশ এবং ধর্মকে দুর্বল করার জন্য এই সমস্ত ব্যক্তিকে সমর্থন করে।” একই সঙ্গে মোদী বলেন, “হিন্দু ধর্মকে ঘৃণা করেন, এমন মানুষ কয়েক শতাব্দী ধরেই রয়েছেন।”
এখানেই থামেননি মোদী। তিনি বলেন, “যাঁদের দাসত্বের মানসিকতা, তাঁরাই আমাদের বিশ্বাস, আমাদের ধর্ম, সংস্কৃতি, মন্দির এবং আদর্শকে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। সমাজকে ভাঙা এবং একতাকে নষ্ট করাই এঁদের লক্ষ্য।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কুম্ভকে কেন মহাকুম্ভ বলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব। কুম্ভমেলা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার টাকার অপচয় করছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনা-সহ একাধিক দুর্ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলেছিলেন। উত্তরপ্রদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অন্য দিকে, মহাকুম্ভকে ‘অর্থহীন’ বলে তোপ দেগেছিলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। মনে করা হচ্ছে, এই সমস্ত মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই বিরোধীদের জবাব দিতে চেয়েছেন মোদী।