ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
শুরুটা ঢিমে তালেই হয়েছিল। কিন্তু তার পর ক্রমেই গতি বাড়িয়ে দেশের বেশির ভাগ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বর্ষা। কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, দিল্লি, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তর-পূর্ব ভারতে শুরু হয়েছে বর্ষার বৃষ্টি। তার জেরে বিক্ষিপ্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানিও ঘটেছে। উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে রবিবার প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। হিমাচলে মাণ্ডি-কুলু জাতীয় সড়কে ধস নেমে তীব্র যানজট। বিপাকে বহু পর্যটক। রাজস্থানেও বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে চার জনের।
সোমবার হাওয়া অফিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবারই রাজস্থানের উদয়পুর, কোটা, বিকানের, জয়পুর জেলায় বর্ষা ঢুকেছে। ওই সব জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। পালি, বারান, চিতোরগড় জেলায় বাজ পড়ে মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থানের রাজসমন্দে ভারী বৃষ্টির কারণে জলের নীচে দিল্লি-মুম্বই সংযোগকারী জাতীয় সড়ক এনএইচ-৮। বিপাকে যাত্রীরা।
ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মধ্যপ্রদেশও। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) সোমবার ওই রাজ্যের কয়েকটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে। কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলতে পারে এই বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টির কারণে সোমবার পর্যন্ত হিমাচলে মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। আহত ১০ জন। জানিয়েছেন সে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের প্রধান সচিব ওঙ্কারচন্দ্র শর্মা। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং দুই মেদিনীপুরে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী দু’দিন ওই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।