প্রতীকী ছবি।
ইয়েস ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে এ বার টাকা ঢালার সিদ্ধান্ত নিল এইচডিএফসি, অ্যাক্সিস, কোটাক মাহিন্দ্রা ও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। এলআইসি-ও টাকা ঢালতে পারে।
আজ নরেন্দ্র মোদী সরকার ইয়েস ব্যাঙ্ক উদ্ধার প্রকল্পে সিলমোহর দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘ইয়েস ব্যাঙ্কের ৪৯ শতাংশ শেয়ার স্টেট ব্যাঙ্ক কিনে নেবে। তিন বছর পর্যন্ত স্টেট ব্যাঙ্ক তার অংশীদারিত্ব ২৬ শতাংশর নীচে নামাতে পারবে না। বেসরকারি লগ্নিকারীদের সঙ্গেও কথা চলছে।’’ এর পরেই এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ১ হাজার কোটি টাকা করে ইয়েস ব্যাঙ্কে লগ্নির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ৬০০ কোটি, কোটাক মাহিন্দ্রা ৫০০ কোটি লগ্নির ঘোষণা করে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে তাদের পুঁজির ৭৫% তিন বছর ইয়েস ব্যাঙ্কে রাখতেই হবে।
স্টেট ব্যাঙ্ক বৃহস্পতিবার জানায়, তারা ইয়েস ব্যাঙ্কে ৭,২৫০ কোটি টাকা ঢালবে। আজ কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, স্টেট ব্যাঙ্ক আমজনতার সঞ্চয়ে সুদের হার কমাচ্ছে। ফিক্সড ডিপোজিটেও সুদের হার কমানো হয়েছে। আমজনতার সুদের টাকা কেটে কেন সেই টাকা ইয়েস ব্যাঙ্কে ঢালা হচ্ছে? কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, ইয়েস ব্যাঙ্ক এত দিন লোকের টাকা লুঠ করেছিল। সরকার তা চোখ বুজে দেখেছে। এখন সরকারের দায় ইয়েস ব্যাঙ্ককে উদ্ধার করা।
আজ সিবিআই ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রাণা কপূর, তাঁর স্ত্রী বিন্দু ও অবন্থা রিয়ালটি-র মালিক গৌতম থাপারের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করেছে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, থাপারের সংস্থাকে ঋণ পাইয়ে দিয়েও ঘুষ নিয়েছিলেন রাণা।
এ হেন ইয়েস ব্যাঙ্কে এলআইসি-ও টাকা ঢালতে পারে বলে সূত্রের খবর। আজ মন্ত্রিসভা ইয়েস ব্যাঙ্কের অনুমোদিত শেয়ার মূলধন ১১০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬,২০০ কোটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এলআইসি-র জন্য লগ্নির জায়গা তৈরি করতেই শেয়ার মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো হল।