জর্জ ফার্নান্ডেজ। ফাইল ছবি
প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রয়াত হন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরেই অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।জনতা দলের অন্যতম মুখ ছিলেন ফার্নান্ডেজ। সমতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জর্জ ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে কার্গিল যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। তবে জয়প্রকাশ নারায়ণের অনুগামী এই নেতা রাজনীতির আঙিনায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন রেল ধর্মঘটের নেতা হিসেবেই। জরুরি অবস্থার সময় তাঁর ইন্দিরাবিরোধী ভূমিকাও সংসদীয় রাজনীতিতে তাঁকে আরও বেশি পরিচিতি দেয়।
অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে রাজস্থানের পোখরানে পরমাণু পরীক্ষার সময়ও তিনি এই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। ২০০২ সালে কফিন কেলেঙ্কারি ও ২০০৬ সালে বারাক কেলেঙ্কারির সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তাঁর।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিটি গরিব মানুষকে ২০১৯-এ কংগ্রেস সরকার ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করবে’, প্রতিশ্রুতি রাহুলের
১৯৬৭ সালে প্রথম তিনি লোকসভায় নির্বাচিত হন। কংগ্রেসের এসকে পাটিলকে হারিয়ে দক্ষিণ বম্বে লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হন জর্জ।প্রতিরক্ষা ছাড়াও যোগাযোগ, শিল্প ও রেলমন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।
বেশ কয়েকদিন ধরেই সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এর পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জর্জ ফার্নান্ডেজ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
আরও পড়ুন: মেডিক্যালের ইতিহাসই বদলে দিলেন নির্মল মাজি, বললেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ডিরোজিও!
১৯৩০ সালের ৩ জুন ম্যাঙ্গালুরুতে জন্ম হয় জর্জ ফার্নান্ডেজের। ১৯৫০ সালের পর থেকে তিনি ক্রমশ একজন শ্রমিক নেতা হিসেবে প্রচারের আলোয় চলে আসেন। বম্বেতে তাঁর নেতৃত্বে একাধিক বনধও সংগঠিত হয়েছে। জরুরি অবস্থার সময়ে কট্টর ইন্দিরা গাঁধী বিরোধী এই নেতা গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। তবে ১৯৭৬ সালে তিনি বদোদরা ডিনামাইট মামলায় গ্রেফতার হন। জরুরি অবস্থার পর তিনি বিহারের মজফ্ফরপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রীও হন। পরবর্তীতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত গোলমালের জেরে মার্কিন সংস্থা আইবিএম ও কোকা-কোলাকে দেশ থেকে চলে যেতেও বলেছিলেন ফার্নান্ডেজ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল তাঁর। গত জন্মদিনেও তাঁকে শুভেচ্ছা জানান মমতা।ফার্নান্ডেজের মৃত্যুর পর টুইটে শোকবার্তাও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তাঁদের আলাপ বহু বছরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ফার্নান্ডেজের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন টুইটবার্তায়।