অমিত শাহ এবং অমরেন্দ্র সিংহ। ফাইল চিত্র।
চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। পদ্ম-শিবির সূত্রের খবর, পিঠে অস্ত্রোপচারের জন্য অমরেন্দ্র এখন লন্ডনে রয়েছেন। সপ্তাহ দু’য়েক পরে দেশে ফিরে এলে বিজেপির সঙ্গে তাঁর দল ‘পঞ্চাব লোক কংগ্রেসের’ মিশে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
পঞ্জাব কংগ্রেস অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে অমরেন্দ্রকে সরিয়েছিল দলের শীর্ষনেতৃত্ব। এর মাস দু’য়েক পর কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে সাত পাতার চিঠি লিখে দল ছাড়ার ঘোষণা করেন তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটের আগের নয়া দল ‘পঞ্চাব লোক কংগ্রেস’ গড়ে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছিলেন। কিন্তু বিধানসভা ভোটে একটি আসনেও জিততে পারেনি তাঁর দল। পটীয়ালার রাজ পরিবারের সন্তান অমরেন্দ্র তাঁর পুরনো আসনে হেরে গিয়েছিলেন।
শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ার পরে পঞ্জাবে দলীয় সংগঠন শক্তিশালী করতে সক্রিয় হয়েছে বিজেপি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস, অকালি দলের বেশ কয়েক জন নেতাকে দলে টেনেছে তারা। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুনীল ঝাখর, প্রাক্তন মন্ত্রী বলবীর সিংহ সিধু, গুরপ্রীত সিংহের মতো অমরেন্দ্র ঘনিষ্ঠেরা রয়েছে সেই তালিকায়। ঘটনাচক্রে, তাঁদের সকলকেই বিজেপিতে আনার ক্ষেত্রে ‘ভুমিকা’ ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।
প্রায় সাড়ে পাঁচ দশকের বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনে আগেও দলবদল করেছেন অমরেন্দ্র। আশির দশকে ইন্দিরা গাঁধী অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে সেনা অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে প্রতিবাদ জানিয়ে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন এই প্রাক্তন সেনা অফিসার। যোগ দিয়েছিলেন শিরোমণি অকালি দলে। তবে কয়েক বছর পরে ফের কংগ্রেসে ফিরেছিলেন।