Amrinder Singh

Amarinder Singh: আমাকে উৎখাত করতে ষড়যন্ত্র করেছে গাঁধী পরিবার, সনিয়াকে তোপ অমরেন্দ্রর

নিজের চিঠির ছত্রে ছত্রে দলের থেকে অপমানিত হওয়ার কথাও তুলে ধরেছেন অমরেন্দ্র। তাঁর দাবি, সনিয়ার কথাতেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ দিয়েছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২১ ০৪:২০
Share:

পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

কংগ্রেসের সদস্যপদে ইস্তফাপত্রে সনিয়া গাঁধী তথা তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। অমরেন্দ্রর অভিযোগ, তাঁকে পদ থেকে উৎখাত করতে ষড়যন্ত্র করেছে গাঁধী পরিবার। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়ার পাশাপাশি রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রার বিরুদ্ধেও নিজের অসন্তোষ চেপে রাখেননি তিনি। সনিয়াকে লেখা সাত পাতার ইস্তফাপত্রে একে একে নবজোত সিংহ সিধু-সহ কংগ্রেসের একাধিক নেতার বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন ক্যাপ্টেন।

সনিয়ার আচরণে তিনি যে গভীর ভাবে মর্মাহত, নিজের চিঠিতে তা-ও জানিয়েছেন অমরেন্দ্র। সনিয়ার উদ্দেশে অমরেন্দ্র লিখেছেন, ‘জনসমক্ষে ৫২ বছরের জীবনের বেশির ভাগ সময়ই আপনি আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন। তা সত্ত্বেও আপনি আমার চরিত্র বুঝতে পারেননি। আপনি ভেবেছিলেন আমার বয়স হয়ে যাচ্ছে। তবে আমি ক্লান্ত নই, অবসরপ্রাপ্তও নই। এক জন যোদ্ধা হিসাবেই থাকতে চাই। বিস্মৃতির আড়ালে চলে যাওয়ার ইচ্ছে নেই।’

Advertisement

নিজের চিঠির ছত্রে ছত্রে দলের থেকে অপমানিত হওয়ার কথাও তুলে ধরেছেন অমরেন্দ্র। গত ২৮ জুলাই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর দাবি, সনিয়ার কথাতেই সে পদক্ষেপ করেছেন। অমরেন্দ্র লিখেছেন, ‘সকাল সওয়া ১০টার সময় আমার সঙ্গে কথা হওয়ার পরের দিনই ইস্তফা দিতে বলেছিলেন। চোখের পলক ফেলার আগেই তা-ই করেছিলাম। যদিও এআইসিসি নেতৃত্ব যে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে গোটা প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়িত করেছেন, তাতে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি।’

কংগ্রেস কি আদৌ অসাম্প্রদায়িক দল? সে প্রশ্নও তুলেছেন অমরেন্দ্র। পঞ্জাব কংগ্রেসের মাথায় নবজোতের মতো প্রাক্তন বিজেপি নেতাকে বসানো নিয়েও সনিয়ার বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়া বা নানা পাটোলের মতো প্রাক্তন বিজেপি নেতাকে ওই রাজ্যে দলের সভাপতির পদে বসানো বা প্রাক্তন আরএসএস নেতা রেভনাথ রেড্ডিকে তেলঙ্গানায় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে নির্বাচনেও দলের আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অমরেন্দ্র। চিঠিতে তাঁর মন্তব্য, ‘কে সাম্প্রদায়িক আর কে তা হলে ধর্মনিরেপেক্ষ, সেটি মানুষই বিচার করবে।’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement