এইচ ডি দেবগৌড়া। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভা নির্বাচনে এ বার অংশ নিচ্ছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া। কর্নাটক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধীর অনুরোধেই তিনি রাজ্যসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে সম্মত হয়েছেন। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেবেন তিনি।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন দেবগৌড়া। তার পর এ বছরের শুরুতেই তাঁর রাজ্যসভা নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে তিনি আগ্রহী নন বলে জানুয়ারি মাসে সাফ জানিয়ে দেন দেবগৌড়া। কিন্তু সম্প্রতি কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী তাঁকে অনুরোধ করলে, ফেলতে পারেননি তিনি।
রাজ্যসভা নির্বাচনে দেবগৌড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা সামনে এনেছেন তাঁর ছেলে এইচ ডি কুমারস্বামী। সোমবার সকালে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘সনিয়া গাঁধী এবং দলের জাতীয় স্তরের নেতাদের অনুরোধে রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া। আগামিকাল মনোনয়ন জমা দেবেন তিনি। সকলের অনুরোধে রাজি হওয়ার জন্য ওঁকে ধন্যবাদ।’’
কুমারস্বামীর টুইট।
আরও পড়ুন: সবাই জানে সীমান্তে কী হচ্ছে, লাদাখের ইঙ্গিত করে অমিতকে কটাক্ষ রাহুলের
তবে বাবাকে রাজি করানো সহজ ছিল না বলে জানিয়েছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের কাছ থেকে জয়-পরাজয়, দুইই দেখেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া। মানুষের সমর্থনে একেবারে শীর্ষে পৌঁছতে পেরেছিলেন। কিন্তু রাজ্যসভার জন্য তাঁকে রাজি করানো সহজ ছিল না। শেষমেশ সকলের অনুরোধ মেনে নেন। এ রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যসভায় যাবেন তিনি।’’
কংগ্রেসের রাজীব গৌড়া , বিকে হরিপ্রসাদ বিজেপির প্রভাকর কোড়ে এবং জনতা দল সেকুলার (জেডিএস) নেতা ডি কুপেন্দ্র রেড্ডি অবসর নেওয়ায় চলতি মাসে কর্নাটক থেকে রাজ্যসভার চারটি আসন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সেখানে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ২২৪, যার মধ্যে ১১৭টি আসন রয়েছে বিজেপির দখলে। কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৬৮টি আসন। ৩৪টি আসনে বিধায়ক রয়েছে জেডিএস-এর।
আরও পড়ুন: জ্বর নিয়ে আইসোলেশনে কেজরীবাল, কোভিড টেস্ট মঙ্গলবার
এই মুহূর্তে সেখান থেকে রাজ্যসভা আসনে জয়ী হতে গেলে ৪৪ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে দু’টি আসন একেবারেই নিশ্চিত বিজেপির। একটি আসন নিশ্চিত কংগ্রেসের, যার মাধ্যমে মল্লিকার্জুন খড়্গেকে প্রথম বারের জন্য রাজ্যসভায় আনতে চলেছে তারা। কিন্তু তার পরেও ২৪ জন বিধায়কের ভোট বেঁচে যাচ্ছে। সেই বেঁচে যাওয়া ভোটকে কাজে লাগিয়ে শরিক দল জেডিএস প্রার্থী দেবগৌড়াকে রাজ্যসভায় আনতে চলেছে তারা।