বালাকোটের স্যাটেলাইট চিত্র। — ফাইল চিত্র
বালাকোট বিমান হানায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে থিতিয়ে যাওয়া বিতর্ক নতুন করে চাঙ্গা করে দিলেন প্রাক্তন পাক কূটনীতিবিদ আঘা হিলালি। একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে ওই পাক কূটনীতিবিদ মেনে নিয়েছেন, অন্তত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল ওই বিমানহানায়। হিলালির এই মন্তব্যের জেরে নতুন করে অস্বস্তির মুখে পাকিস্তান।
২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর কনভয়ে হামলা চালায় জৈশ ই মহম্মদ। তার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই, সেই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘এয়ারস্ট্রাইক’ করে ভারত। সে সময় ইসলামাবাদ দাবি করেছিল, ওই হামলায় কারও মৃত্যু হয়নি। সম্প্রতি পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেন ওই প্রাক্তন পাক কূটনীতিবিদ। তিনি মতামত রাখছিলেন পাক সেনার পক্ষে। ওই অনুষ্ঠানে তিনি ইসলামাবাদের আগের বয়ানের উল্টো পথে হেঁটে জানিয়ে দেন, অন্তত ৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল ওই বিমানহানায়। আঘা বলেন, ‘‘ভারত সীমান্ত পেরিয়ে যুদ্ধ চালানোর মতো কাজ করেছে, যাতে অন্তত ৩০০ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর। আমাদের নিশানা তাদের থেকে আলাদা ছিল। আমরা ওদের হাইকম্যান্ডকে নিশানা করেছিলাম। কারণ ওরা সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে হতাহতের ঘটনা ঘটবে না, এটা আমরা অবচেতন ভাবে স্বীকার করে নিয়েছিলাম। এখন আমরা অবচেতন ভাবে ওদের বুঝিয়ে দিয়েছিলাম যে তারা যা করবে, আমরাও তাই করব। উত্তেজনা বাড়াব না।’’
গত বছর অক্টোবরে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-এর নেতা আয়াজ সাদিক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাবি করে বসেন, ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে পাকিস্তান যদি মুক্তি না দিত, তা হলে ওই দিনই আক্রমণ করত ভারত। ইমরান খান সরকারের চাপ বাড়িয়ে আয়াজ দাবি করেন, ভারত আক্রমণ করতে পারে এই ভয়ে পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ‘পা কাঁপছিল’।
আরও পড়ুন: হঠাৎ রাজধানীতে সন্তোষ-সাক্ষাৎ, আবার বিতর্কে রাজ্যপাল ধনখড়
আরও পড়ুন: নিজের ঢাকে নিজেই কাঠি, ‘অবাঙালিত্ব’ মুছতে কৈলাসের ঢাক কা নিনাদ
বালাকোটে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল দেশের ভিতরেও। মোদী সরকারকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। যদিও সরকার পক্ষের দাবি ছিল, ওই ‘এয়ারস্ট্রাইক’-এর জেরে বহু জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। আঘার মন্তব্য সেই বিতর্কে নতুন ইন্ধন জোগাল।