দেশদ্রোহের মামলা সিদ্দারামাইয়া-কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচনের আগে বিরোধীদের বাড়ি বাড়ি আয়কর তল্লাশি নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। এ বার কর্নাটকের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী এবং সিদ্দরামাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের হল। মামলা দায়ের হয়েছে কংগ্রেসের ডিকে শিবকুমার, জেডিএস-এর দীনেশ গুণ্ডুরাও, বেঙ্গালুরুর তৎকালীন পুলিশ কমিশনার টি সুনীল কুমার-সহ আরও বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ পুলিশের।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের নিশানা করা হচ্ছে, তাঁদের বাড়ি ও দফতরে আয়কর হানা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে গত মার্চ মাসে বেঙ্গালুরুতে আয়কর দফতরের বাইরেই বিক্ষোভ দেখান কর্নাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী-সহ কংগ্রেস ও জেডিএস জোটের অন্য নেতা-মন্ত্রীরা।
সেই নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এ মল্লিকার্জুন নামের এক সমাজকর্মী। তাতে বলা হয়, জেডিএস এবং কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতে যে আয়কর হানা হতে পারে, কুমারস্বামীই সেই খবর ফাঁস করেছিলেন। তার পর সকলকে নিয়ে আয়কর দফতরের সামনে হাজির হন। আয়কর দফতরের আধিকারিকদের ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলে কটাক্ষও করেন, যাতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়।
আরও পড়ুন: গডসে মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন প্রজ্ঞা, জঙ্গি বলায় পাল্টা তোপ রাহুলকে, সংসদে তুমুল বাগবিতণ্ডা
আরও পড়ুন: ‘এ বার গোয়াতেও চমক দেখবেন’, দাবি শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের
মল্লিকার্জুনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে সম্প্রতি পুলিশকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দেয় রাজ্যের একটি আদালত। তার পরই পদক্ষেপ করে পুলিশ। কুমারস্বামী, শিবকুমারদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়, যার মধ্যে রয়েছে ১২৪-এ (দেশদ্রোহ) এবং ১২১ ধারাও(সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বা যুদ্ধ চালানোর চেষ্টা)।
দীর্ঘদিন ধরেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে আসছে কংগ্রেস, জেডিএস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন বলে দাবি করে আসছেন তাঁরা। তার মধ্যেই এই ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে কুমারস্বামী বা তাঁর দলের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে গোটা ঘটনাকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন শিবকুমার। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘বিক্ষোভ দেখালেও আয়কর অফিসে ঢুকিনি আমরা। বরং আয়কর ভবন থেকে ১৫০ মিটার দূরে দাঁড়িয়েই স্লোগান তুলেছিলাম।’’