বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ফাইল চিত্র।
স্বস্তি পেলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। জমি দুর্নীতির মামলা থেকে বিজেপির প্রবীণ নেতাকে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। জমি বণ্টন দুর্নীতি মামলার এফআইআর থেকে ইয়েদুরাপ্পার নাম বাদ দেওয়ার আবেদনে শুক্রবার সম্মতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
২০১৩ সালে এ বিষয়ে লোকায়ুক্ত পুলিশের তদন্ত হলেও ইয়েড্ডির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ না মেলায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর প্রত্যাহারের জন্য কর্নাটক হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ২০২০-তে সেই আবেদন হাই কোর্ট খারিজ করে দেয়। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় লোকায়ুক্ত পুলিশ।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বেলান্দুর এবং দেবারাবীসনহল্লিতে আইটি পার্ক গড়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ করে বেআইনি ভাবে তা বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে। এই দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানোয় ২০১১-র অগস্টে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন কর্নাটক রাজনীতিতে ‘ইয়েড্ডি’ নামে এই নেতা। জেলেও যেতে হয়েছিল তাঁকে।
এর পর বিজেপি ছেড়ে কর্নাটক জনতা পক্ষ নামে দল গড়ে ভোটে লড়তে নামেন। ৬টি আসনে জেতার পাশাপাশি লিঙ্গায়েত ভোটে থাবা বসিয়ে বিজেপির ভরাডুবি নিশ্চিত করেন। ২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে ফেরেন ইয়েড্ডি। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটের পর কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট সরকার গঠিত হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯-এ বিধায়ক ভাঙিয়ে সেই সরকারের পতন ঘটিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি।
কিন্তু গত বছর অনিয়মের অভিযোগে তাঁকে সরিয়ে দেয় বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব। এর আগে বল্লারিতে অবৈধ ভাবে আকরিক লোহা খনন কাণ্ডে ৪০ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনেরও অভিযোগ উঠেছিল ইয়েড্ডির বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই অভিযোগ থেকেও আদালত মুক্তি দিয়েছিল তাঁকে।