ছবি: পিটিআই।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের রাজ্যসভায় মনোনয়ন নিয়ে এ বার সরব হলেন আর এক প্রাক্তন বিচারপতি এ কে পট্টনায়ক। গগৈ প্রধান বিচারপতি পদে থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগের তদন্ত করেছিলেন পট্টনায়কই। এক সময়ে একই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন তাঁরা।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রাজ্যসভার সদস্য হওয়ায় নানা শিবির থেকে প্রশ্ন উঠেছে। এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কুরিয়ান জোসেফ, মদন লোকুর, মার্কন্ডেয় কাটজু ও এ পি শাহের মতো প্রাক্তন বিচারপতিরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গগৈ এই সমালোচনার জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘‘কাটজুর কথার গুরুত্ব নেই। ওঁকে বাদ দিন। কুরিয়ান জোসেফ ও মদন লোকুর আমার বন্ধু। কিন্তু ওঁদের উচ্চাশা পূরণ হয়নি। দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এ পি শাহের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁর নাম সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদের জন্য সুপারিশ করা হয়নি।’’ রাজ্যসভার সদস্যপদকে অবসরের পরে কর্মসংস্থানের সুযোগ বলে মানতে রাজি হননি গগৈ। তিনি বলেন, ‘‘বছরে ৬০ দিন সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে হয়। রাজ্যসভার সদস্যেরা যে বেতন পান তা প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির অবসরকালীন ভাতার প্রায় সমান। রাজ্যসভার সদস্যকে যে আবাসন দেওয়া হয় তা প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির চেয়ে চার ধাপ নীচে।’’
গগৈয়ের কথায়, ‘‘প্রধান বিচারপতি হিসেবে কোনও রায় দেওয়ার জন্য রাজ্যসভার সদস্যপদ পাওয়া যেতে পারে এমন ভাবনা দেশের শত্রুরাই ভাবতে পারে।’’
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ১৪৪ ধারা, সীমানা সিল, বন্ধ হচ্ছে বিমানের ওঠানামাও
কিন্তু এ দিন প্রাক্তন বিচারপতি পট্টনায়কও গগৈকে রাজ্যসভায় মনোনীত করার সমালোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কেন রাজ্যসভায় মনোনীত বা নির্বাচিত হতে যাবেন তা আমি বুঝতে পারছি না। রাষ্ট্রপতিরও তাঁকে মনোনীত করা উচিত নয়। বিচারপতিদের সম্মানজনক ভাবে অবসর নেওয়া উচিত।’’ পট্টনায়কের মতে, ‘‘গগৈ যদি রাজনীতিক হতে চাইতেন তবে অনেক আগেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। রাজ্যসভার সদস্যেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু বিচার বিভাগের দায়িত্ব আলাদা।’’ আইনি জগতের প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দিতে হলে আরও অনেক ব্যক্তিত্বের কথা ভাবা যেত বলে মনে করেন পট্টনায়ক।