অরবিন্দ কেজরীবাল। ফাইল ছবি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনে এ বার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিলেন ৩০ জন প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক। তাঁদের দাবি, পুলিশকে জনতার চোখে ভিলেন সাজিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন কেজরীবাল।
গত ১২ সেপ্টেম্বর কেজরীবাল গুজরাতে প্রচারে গিয়ে এক অটোচালকের বাড়িতে নৈশাহার করতে গিয়েছিলেন। অটোচালক নিজে বিলাসবহুল হোটেলে গিয়ে কেজরীবালকে নিয়ে অটো চালিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। সেই সময়ই পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
সেই ঘটনার কথা তুলে ধরে তিন পাতার চিঠিতে ৩০ জন প্রাক্তন আইপিএস অভিযোগ করেছেন, কেজরীবাল তাঁর নিরাপত্তায় মোতায়েন পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে অত্যন্ত কুরুচিকর এবং নির্বোধের মতো মন্তব্য করেছিলেন। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, কেজরীবাল বলেছিলেন, গুজরাতের পুলিশ আধিকারিকরা রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কালো চিহ্নস্বরূপ। প্রাক্তন আইপিএসদের দাবি, এ সব বলে কেজরীবাল পুলিশ বাহিনীকে ছোট করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছিলেন।
চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, সেই সময় পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে কেজরীবালের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়েছিল। সেই অটোতে চালকের পাশে একজন পুলিশ আধিকারিক বসতে পেরেছিলেন। বাকিরা অন্য একটি গাড়িতে কেজরীবালের পিছু পিছু এসেছিলেন।
পত্রপ্রেরক আইপিএস আধিকারিকরা দাবি করেছেন, পঞ্জাবে ভোটের আগেও ঠিক একই রকম ব্যবহার করেছিলেন কেজরীবাল। চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘এই সমস্ত বলে কেজরীবাল নিজেকে রাজনৈতিক শহিদের তকমা দিতে চাইছেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে তিনি গুজরাত পুলিশ তথা গোটা দেশের পুলিশকেই ছোট করছেন।’
প্রসঙ্গত, গুজরাতে এই অটো-অধ্যায়ের পর দিল্লি বিজেপি কেজরীবালকে পাঁচটি অটো উপহার দিতে চেয়েছিল। দিল্লি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রামবীর সিংহ বিধুরি বলেছিলেন, ‘‘ওঁর কনভয়ে ২৭টি গাড়ি দৌড়য় এবং ২০০ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকেন। তাও গুজরাতে গিয়ে তাঁকে নাটক করতে হয় অটোয় চড়ে। তাই আমরা তাঁকে এই অটোগুলি উপহার দিতে চাই, যাতে তিনি দিল্লিতেও তিন চাকার বাহনেই ঘুরে বেড়াতে পারেন।’’