প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে চাকরি ছাড়েন অভিযুক্ত। ফাইল ছবি।
চাকরি করেছিলেন মাত্র পাঁচ মাস। কাজ ছিল চালকদের গতিবিধি দেখে তা সংস্থার সার্ভারে রাখা খতিয়ানে নথিভুক্ত করা এবং চালকদের টাকা মেটানো। আর তা করতে গিয়েই সংস্থাকে প্রায় পথে বসানোর উপক্রম করেছিলেন বিনয় গেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিনয় চালকদের নামে ৩৮৮টি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিলেন। সবক’টিই ভুয়ো। সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেন তিনি। পুলিশ বিনয়কে খুঁজছে।
জানা গিয়েছে, ২০২১-এর অগস্টে অ্যাপ নির্ভর ট্যাক্সি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা উবরে যোগ দেন বিনয়। সংস্থার সার্ভারে চালকদের গতিবিধি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আপলোড করতেন তিনি। চালকদের প্রদেয় অর্থও তিনি দিতেন। অভিযোগ, এই কাজের সুবাদে তিনি ৩৮৮টি ভুয়ো চালকের প্রোফাইল তৈরি করেন। তার পর সেই অ্যাকাউন্টে টাকা মেটান। সব মিলিয়ে এ ভাবে ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেন তিনি। ওই বছরই ডিসেম্বরে চাকরি ছেড়ে দেন বিনয়।
এ ভাবে ভালই চলছিল। কিন্তু ২০২২-এর এপ্রিলে উবর তদন্ত করে জানতে পারে ৩৮৮টি প্রোফাইলের বাস্তবে কোনও হদিস নেই। সেই ৩৮৮টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মধ্যে আবার ১৯১টি প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছিল একটি আইপি অ্যাড্রেস থেকেই। আইপি বা ‘ইন্টারনেট প্রোটোকল’ হল প্রতিটি কম্পিউটারের ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা। সংস্থা আরও তদন্ত করতেই বেরিয়ে আসে সেই কম্পিউটারটি আসলে সংস্থার প্রাক্তন কর্মী বিনয়ের। হিসাব করে দেখা যায়, এ ভাবে ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। আরও দেখা যায়, ওই ৩৮৮টি ভুয়ো প্রোফাইলে উবরের তরফ থেকে যে টাকা মেটানো হয়েছে তা গিয়েছে ১৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সাধারণত, একজন চালক পিছু একটি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হওয়াই দস্তুর। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রায় চারশো জন চালকের মাত্র ১৮টি অ্যাকাউন্ট কী করে হয়? পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে উবর। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে গুরুগ্রাম পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।