প্রতীকী ছবি।
কয়লা কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আগেই। দেশের প্রাক্তন কয়লা সচিব-সহ আরও দুই উচ্চপদস্থ আফিসারকে দু’বছরের কারাদণ্ড দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁদের তিনজনকে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানাও দিতে হবে। সোমবার বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক ভারত পরাশর এই সাজা ঘোষণা করেন। যদিও এই সাজা ঘোষণার কিছু পরেই দোষীরা প্রত্যেকেই জামিন পেয়ে যান।
শনিবারই কয়লা মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব হরিশচন্দ্র গুপ্ত, তৎকালীন যুগ্মসচিব কে এস ক্রোফা এবং আর এক শীর্ষ পদাধিকারীকে সি সামারিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক ভারত পরাশর। তবে সে দিন তাঁদের এই অপরাধের সাজা শোনাননি তিনি। আজ, সোমবার সাজা ঘোষণার কথা ছিল।
ওই তিন জন ছাড়াও এ দিন কেএসএসপিএল নামে যে বেসরকারি সংস্থাকে কয়লার ব্লক দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, সেই সংস্থার এমডি পবনকুমার অহলুওয়ালিয়াকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং সঙ্গে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আর কেএসএসপিএল নামে ওই সংস্থাকে দিতে হবে এক কোটি টাকা জরিমানা।
আরও পড়ুন: বিদ্বেষ! অস্ট্রেলিয়ায় ফের আক্রান্ত ভারতীয় ট্যাক্সিচালক
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ যখন কয়লা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন, সে সময়ে মধ্যপ্রদেশের রুদ্রপুরায় কয়লা ব্লক দেওয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনেছিল সিবিআই। আদালতে সিবিআই জানায়, কেএসএসপিএল নামে যে বেসরকারি সংস্থাকে কয়লার ব্লক দেওয়া হয়েছিল, তাদের আবেদনপত্রই ছিল অসম্পূর্ণ। মন্ত্রকের নিয়মনীতির সঙ্গেও মিল ছিল না। ফলে মন্ত্রকের উচিত ছিল আবেদনপত্রটি বাতিল করা। এ নিয়ে ওই প্রাক্তন সচিব হরিশচন্দ্র গুপ্ত সহ দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করে সিবিআই। হরিশচন্দ্র গুপ্ত যদিও আদালতে জানিয়েছিলেন যে মনমোহনই ওই সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু সিবিআই সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয়। সিবিআইয়ের তরফ থেকে আদালতে জানানো হয় যে, মনমোহন সেই সময়ে কয়লা মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকলেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁকে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। আদালত তা মেনে নেওয়ায় এই কেলেঙ্কারি থেকে ছাড় পান মনমোহন সিংহ।